parbattanews

রামগড়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ি ও আতশবাজি আটক

খাগড়াছড়ির রামগড়ে সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ি ও আতশবাজি আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ভোররাতে ৪৩ ব্যাটালিয়নের বিজিবি বিশেষ অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল আটক করে।

এদিকে আটক ভারতীয় মালামালের সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে বিজিবি ও পুলিশ একই দিন সকালে রামগড় পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বাড়িতে তল্লাশী অভিযান চালিয়েছে।

এসময় ঐ বাড়ি থেকে ভারতীয় মদ ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।

রামগড়স্থ ৪৩ বিজিবি’র উপ-অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবির এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রামগড় পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী মন্দিরঘাট নামক এলাকায় একটি গোডাউনে তল্লাশী চালায় বিজিবি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজিবি হানা দেয় ঐ গোডাউনে। অভিযানে ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. তারিকুল হাকিম পিএসসি নেতৃত্ব দেন। তালাবদ্ধ ঐ গোডাউন খুলে পাওয়া যায় ভারতীয় শাড়ির ১৩টি বান্ডেল ও ১০ কার্টুন আতশবাজি।

গোডাউনের মালিক তোতা মিয়া জানান, ঘরটি স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. দেলোযার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন ভাড়া নিয়েছেন। আটক মালামালগুলো ওই ভাড়াটিয়ার বলে জানান তিনি।

বিজিবি জানায়, সীমান্তের ওপারে ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম থেকে এসব মালামাল পাচার করে এনে ঐ গোডাউনে রাখা হয়। সময় সুযোগ বুঝে এগুলো সমতল জেলায় পাচার করা হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বাসিন্দা জানান, গত ১০-১২ আগেও এখান থেকে এক ট্রাক ভারতীয় শাড়ি সমতল জেলায় পাচার করা হয়।

তারা জানান, ভারতীয় শাড়ী, বিভিন্ন মদকদ্রব্য ও গরু পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট এখন মন্দিরঘাট, বল্টুমরাম টিলা, কাশিবাড়ি ও লাচারিপাড়া সীমান্ত এলাকা।

এদিকে গোডাউন থেকে আটক ভারতীয় শাড়ী ও আতশবাজির সাথে সম্পৃক্ততার সন্দেহে বিজিবি ও পুলিশ মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেনের বল্টু রামটিলাস্থ বাড়িতে যৌথ অভিযান চালায়। বাড়িঘর তল্লাশী করে ভারতীয় মদ, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও একটি খেল না রাইফেল জব্দ করে যৌথবাহিনী। মন্দিরঘাটের গোডাউন থেকে মালামাল আটকের পরই বিজিবি ঐ কাউন্সিলরের বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। পরে সকালে যৌথ তল্লাশী চালানো হয়। এসময় কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বাড়িতেই ছিলেন।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, আটক ভারতীয় শাড়ী ও আতশবাজির সাথে তার কোন সমপৃক্ততা নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে।

বিজিবির ৪৩ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর হুমায়ুন কবির বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তারা এ অভিযান চালিয়েছেন। আটককৃত শাড়ি ও আতশবাজির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, জব্দ তালিকা তৈরির কাজ শেষ হলে পরে তা জানানো হবে।

Exit mobile version