parbattanews

রামগড়ে ব্যাপকহারে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা: দশ দিনে ৪০জন হাসপাতালে ভর্তি

রামগড় প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ঘরে ঘরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। এদিকে হঠাৎ করে নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ রোগের প্রয়োজনীয় ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। ডাক্তার ও নার্সরা দায়িত্ব পালনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, অক্টোবর মাসের শুরুতে হঠাৎ করে শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। প্রতিদিন ৪-৫জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ১ অক্টোবর হতে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এ দশ দিনে ৪০জন শিশু ভর্তি হওয়ার রেকর্ড রয়েছে হাসপাতালের রেজিস্টারে।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আন্তঃবিভাগ পরিদর্শন কর দেখা গেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১৪জন শিশুর চিকিৎসা চলছে। কর্তব্যরত এক সেবিকা জানান, ১৯জন নিউমোনিয়া রোগীর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে ৫জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

গত ১০ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪০জন  শিশু রোগীর অধিকাংশের বয়স এক বছরের মধ্যে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন  শিশু রোগীর কয়েকজন অভিভাবক জানান, হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ  পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে অধিক দামের এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে তাদের।

এদিকে কর্তব্যরত এক সেবিকা জানান, হঠাৎ করে শিশু নিউমোনিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় তারা বেশ হিমশিম খাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকার অধিবাসীদের কাছ থেকে জানাগেছে, প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী রয়েছে। অধিকাংশ শিশু রোগীদের অভিভাবকরা গ্রাম্য ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে।

রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়ার পরির্বতনের কারণেই শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে দিনের বেলায় প্রখর রৌদ্র তাপে প্রচণ্ড গরম এবং ভোর রাতে ঠাণ্ডা পড়ার কারণে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিলে রোগ সেরে যায়। তবে অভিভাবকদের অবহেলায় এ রোগে শিশুর মৃত্যুও  ঝুঁকিও রয়েছে অনেক। হাসপাতালে নিউমোনিয়ার পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে রোগী বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে।

Exit mobile version