parbattanews

রামগড়ে ভুয়া চক্ষু ডাক্তার ও সহযোগীকে ২ মাসের জেল

খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক ভুয়া চক্ষু ডাক্তার ও তার সহযোগীকে ১ লাখ টাকা করে ২ লাখ টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত গোলাম মহিউদ্দিন (৪২) নামে ওই ভুয়া ডাক্তার ও তার এসিস্টেন্ট (সহযোগী) উজ্জ্বল খানকে (৪২) এ দণ্ডাদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত মহিউদ্দিন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের গোপালনগর গ্রামের বেপারি বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে এবং উজ্জল খান নেত্রকোনার মালনি গ্রামের রমজান খানের ছেলে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বিএমডিসির নিবন্ধিত চিকিৎসক কিংবা স্বীকৃত ও নিবন্ধনকৃত ডিপ্লোমার অধিকারী মেডিকেল সহকারী না হয়েও রামগড় পৌরসভার সদু কার্বারি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে চক্ষু শিবির পরিচালনা করা হচ্ছে এমন অভিযোগে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর ) ঐ স্কুলে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মানস চন্দ্র দাশের নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্টে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতিবিহীন ও নিবন্ধন ব্যাতীত চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে গোলাম মহিউদ্দিন চৌধুরী (৪২) এবং মো. উজ্জ্বল খান (৪২) নামে দুজনকে আটক করে মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২২(১) ধারার অপরাধে একই আইনের ২২(২) ধারায় দুজন আসামির প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আসামিদ্বয় অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করতে অপারগতা প্রকাশ করায় সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন আদালত।

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মানস চন্দ্র দাশ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদ্বয় রামগড়সহ বিভিন্ন এলাকায় স্কুল- মাদ্রাসায় চক্ষু শিবির পরিচালনার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। তিনি বলেন, নিবন্ধিত ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করার জন্য রামগড় উপজেলার সাধারণ মানুষকে সচেতন করাসহ ভুয়া চিকিৎসা কার্যক্রম প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

Exit mobile version