parbattanews

রামগড়ে যৌতুকের মামলায় স্বামী শ্রীঘরে

Ramgarh  21.9

রামগড় প্রতিনিধি:
রামগড়ে ১০লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে বিয়ের মাত্র তিন মাস ২১ দিনের মাথায় খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী স্ত্রী নয়মী হালদারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের অভিযোগে স্বামী টুটুল চন্দ্র দেবনাথ গ্রেফতার হয়েছেন।

সোমবার খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসর্ম্পন করলে আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রামগড় থানায় গত ২২ আগস্ট নয়মী হালদারের দায়ের করা একটি মামলায় (নম্বর জিআর ২৬৬/১৫) আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকেন। আজ সোমবার খাগড়াছড়ি জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পন করে মামলার প্রধান আসামী টুটুল চন্দ্র দেবনাথ তার আইনজীবি নজরুল ইসলামের মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানান। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবুল মনছুর আহমেদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আসামীকে খাগড়াছড়ি জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগড়ের গর্জনতলী গ্রামের সুবোধ চন্দ্র দেবনাথের ছেলে টুটুল চন্দ্র দেবনাথ(২৯) গত ৩১ মার্চ তার খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী প্রেমিকা দারোগা পাড়ার নয়মী হালদারের(২৫) বাসায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় প্রতিবেশীদের হাতে আটক হন। প্রায় ২০ঘন্টা গৃহবন্দি থাকার পর টুটুলের অভিভাবক, স্থানীয় কালীবাড়ির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হিন্দু রীতি অনুসারে রামগড় কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি নোটারী পাবলিকে তারা বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। সেসময়ে রামগড়ে বেশ চাঞ্চল্যসৃষ্টিকারী এ জুটির বিয়ে মাত্র তিন মাস ২১ দিনের মাথায় ভেঙ্গে যায়।

প্রতারণামূলক ভালবাসা, জোরপূর্বক বিয়ে সম্পাদন ও ঘর জামাই করে আটকে রাখার অভিযোগ এনে ২১ জুলাই খাগড়াছড়ি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে স্ত্রী নয়মী হালদারকে তালাক দেয় টুটুল চন্দ্র দেবনাথ।

অপরদিকে, ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে শারীরিক নির্যাতন, স্বামী স্ত্রীর দৈহিক মেলামেশার দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারণ এবং ইন্টারনেটে এসব ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে নয়মী হালদার গত ২২ আগস্ট প্রেমিক স্বামী টুটুল চন্দ্র দেবনাথকে প্রধান আসামী করে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যান্য আসামীদের মধ্যে রয়েছে টুটুল দেবনাথের বাবা সুবোধ চন্দ্র দেবনাথ, ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র দেবনাথ, দুই ভগ্নিপতি শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ ও সুখময় দেবনাথ। মামলা দায়েরের পরই তারা সবাই গা ঢাকা দিলেও পুলিশের হাতে আটক হন টুটুলের বাবা সুবোধ চন্দ্র দেবনাথ।

Exit mobile version