রামগড়ে ২ স্ত্রী নিয়ে অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্বামীর আত্মহত্যা

fec-image

দুই স্ত্রী নিয়ে পারিবারিক অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে ঈদের দিন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সিরাজুল ইসলাম (৩২) নামে এক ব্যক্তি। শুক্রবার(১৪ মে) রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুল এলাকায় প্রথম স্ত্রী নার্গিস সুলতানার বাপের বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটিরাঙ্গার বাসিন্দা মৃত মো. আশরাফ আলীর পুত্র সিরাজুল ইসলাম রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুলের বাসিন্দা শেখ আহম্মেদের কন্যা নার্গিস সুলতানাকে বিয়ে করে ঘরজামাই হয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তার দুই টি সন্তানও রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে সে গোপনে চট্টগ্রামে আরেকটি বিয়ে করেন।

দ্বিতীয় বিয়ের কথা ফাঁস হওয়ার পর প্রথম স্ত্রী তাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যেতে দিতো না। এ অবস্থায় খোরপোষ না দেয়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করায় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামী সিরাজুলের নামে আদালতে মামলা দেন। এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন আগে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে আসে। এনিয়ে পারিবারিক কলহ ও অশান্তি সব সময় লেগে থাকে। দুই স্ত্রীকে নিয়ে সিরাজুল মারাত্মকভাবে মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় শুক্রবার ঈদের দিন দুপুরে ফেনীরকুল এলাকায় প্রথম স্ত্রীর বাপের বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘরের সিলিংয়ের সাথে স্ত্রীর ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এসময় ঘরে স্ত্রী বা সন্তান কেউ ছিল না। ১০ বছর বয়সী বড় ছেলে বাজার থেকে এসে ঘরের সিলিংয়ের সাথে বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এসে ওড়না কেটে তার মরদেহ নামায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।

রামগড় থানার এসআই অজয় চক্রবর্তি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই স্ত্রী নিয়ে পারিবারিক অশান্তির কারণেই সিরাজুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা, রামগড়ে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন