parbattanews

রামগড়-ভারত সীমান্ত: দুদেশের হাজারো ভক্তের সিক্ত চোখে দেবী দুর্গার বির্সজন ফেনী নদীতে

রামগড় প্রতিনিধি:

রামগড় ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে দুদেশের হাজারো হিন্দু ধর্মাবলম্বী অশ্রু সিক্ত চোখে বির্সজন দিয়েছেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে।

শনিবার বিকাল ৫টার দিকে ফেনী নদীর রামগড় আনন্দপাড়া ঘাটে এ বির্সজন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। রামগড় দক্ষিণেশ্বরী কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতেই উপজেলার একমাত্র সার্বজনীন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

বড়ুয়া বাড়িতে আয়োজন করা হয় পারিবারিক মন্ডপ। শনিবার বেলা ২টায় কালীবাড়ি থেকে বিজয়া দশমীর বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়। দেবী দুর্গাসহ অন্যান্য প্রতিমা নিয়ে র‌্যালীটি পৌরসভার জগন্নাতপাড়া, ডেবারপাড়, মাস্টারপাড়া, রামগড় বাজার, আনন্দপাড়া প্রভৃতি এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালীতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা উপজাতীয় ও বাঙ্গালি হিন্দু নারী, পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ বণিতা অংশ নেন। বিজয়া দশমীর এ বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে ফেনী নদীর আনন্দপাড়া আবাসিক এলাকা ঘাটে  মুর্হুমুহু উলু ধ্বনি, ঢাকঢোল, শঙ্খ বাজিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে দেবী দুর্গাসহ একেএকে প্রত্যেক প্রতিমাকে বির্সজন দেয়া হয় নদীতে।

এসময় সীমান্তের ওপারে ভারতে সাব্রুমের অসংখ্য নারী পুরুষ নদীর তীরে সমবেত হন দেবী দুর্গাকে বিদায়  জানাতে । তারাও  ওপার খেকে উলু ধ্বনি ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবী দুর্গার বির্সজনে অংশ নেন । এক সময় নৌকায় চড়িয়ে দেবী দুর্গার এ বির্সজন সম্পন্ন করা হত ফেনী নদীতে।

আয়োজকরা জানান, এখন নৌকা পাওয়া যায় না। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে নদীর পাড় থেকেই বির্সজন দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়া সত্ত্বেও এ বছর বেশ জাঁকজমকভাবে দুর্গোৎসব উদ্যাপিত হয় রামগড়ে।

উপজাতীয় শরণার্থী পুর্নবাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ির এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরি, রামগড় বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল এম জাহিদুর রশীদ, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ভুইয়া, উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. আল মামুন মিয়া, পৌরসভার মেয়র মো. শাহ জাহান কাজী রিপন, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মো. ফরহাদ ও  থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শরীফুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিরা দুর্গোৎসবে অংশ নেন।

এদিকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আনন্দ উদ্দীপনায় দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ রামগড়বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা  জানিয়েছেন দক্ষিণেশ্বরী কালিবাড়ি পরিচালনা পরিষদের সভাপতি তাপস ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক সজীব সিংহ।

Exit mobile version