parbattanews

রামগড় যুবলীগের দুই সভাপতির দ্বন্দ্ব মেটাতে সমঝোতা বৈঠক খাগড়াছড়িতে

রামগড় প্রতিনিধি:

রামগড় উপজেলা ও পৌর যুবলীগের দুই সভাপতির মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসায় জেলা নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে খাগড়াছড়িতে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কোন্দল, নেতাদের দ্বন্দ্ব, বিরোধ অবসানের লক্ষ্যে সাংগঠনিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ এ সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করে।

বৃহস্পতিবার(১৫ফেব্রুয়ারি) জেলা সদরে খাগড়াছড়ির এমপির বাংলোতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে রামগড় উপজেলা ও পৌর যুবলীগের  দুই কমিটির কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও  পৌর যুবলীগের বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে পূর্বের কমিটি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।  বৈঠকে নেতাদের সকল দ্বন্দ্ব, বিরোধ ত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর কড়া নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানাগেছে।

বৈঠকে খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার  ত্রিপুরা, সহ সভাপতি মেহেদী হাসান হেলাল, সাধারণ সম্পাদক কেএম  ইসমাইল হোসেন, রামগড় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদেশ ত্রিপুরা,  পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শামিম মাহমুদ, ইউনিয়ন যুলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম, যুবলীগের কাজী শিপন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন খন্দকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র জানায়, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংশুইপ্রু চৌধুরি অপু মূলত: এ সমঝোতা বৈঠকের উদ্যোগ নেন।

জানাযায়, বৈঠকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও রামগড় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দল কাদেরের সাথে পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার কাউন্সিলর মো. দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার কাউন্সিলর শামিম মাহমুদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, মত বিরোধের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

এ সময় দুপক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন। পরে জেলা নেতৃবৃন্দ দুপক্ষের মধ্যে আপোষ রফা করে দেন। বৈঠকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রামগড় উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এছাড়া দলীয় গঠনতন্ত্র লংঘন করে গঠিত পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাহার করা হয়। কাউন্সিল না হওয়া পর্যন্ত উপজেলা পৌর কমিটি সমন্বয়ের মাধ্যমে সাংগঠনিক কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদের ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন সমঝোতা বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এখন থেকে দ্বন্দ্ব বিরোধ ভুলে একসাথে সাংগঠনিক কাজ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ। আমরাও জেলা নেতৃবৃন্দের সকল নির্দেশ মেনে নিয়েছি।

খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা বলেন, সব ভুল বোঝাবুঝির কারণ সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র, নিয়মনীতি সম্পর্কে নেতাদের অজ্ঞতা।

তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে তাদের এসব দ্বন্দ্ব বিরোধ বরদাস্ত করা হবে না। মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে তাদের। এর ব্যতিক্রম হলে সংগঠন কঠোর ব্যবস্থা নেবে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, সময় সুযোগ বুঝে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটির পুর্নগঠন হবে দলীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে।

Exit mobile version