parbattanews

রামুতে নাচ-গানের প্রতিবাদ করায় দুই সহোদরকে কুপিয়ে জখম

রামুতে সড়কের পাশে উশৃঙ্খল আচরণ ও নাচগানের প্রতিবাদ করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও দুই সহোদরকে কুপিয়েছে একদল বখাটে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টম্বর) রাতে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে আহত রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরীপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে মো. ফারুক (৩২) ও ইমরুল কায়েস শাকিব (২০)।

এ ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন হামলার শিকার মো. ফারুক। এতে অভিযুক্তরা হলেন, ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরংলোয়া গ্রামের আবদুছ সালামের ছেলে মো. শাহীন, আবু তাহেরের ছেলে মো. শাকিল, শামসুল আলমের ছেলে মো. ফাহিম, মনছুর আলমের ছেলে মো. রায়হান ও একই ইউনিয়নের আমতলিয়া পাড়ার মৃত আবদুল কবিরের ছেলে আবু শামা।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার বিকালে ফতেখাঁরকুল লম্বরীপাড়ায় সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো চেয়ারম্যানের মালিকানাধিন ইটভাটার পাশর্^বর্তী সড়কে অভিযুক্ত যুবকরা উচ্ছৃঙ্খল আচার-আচরণ ও নাচ গান শুরু করলে মো. ফারুক তাদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এ ঘটনার জেরে ওইদিন রাত সাড়ে ৮ টায় উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও নাচ গানে লিপ্ত যুবকরা বাইপাস সংলগ্ন মক্কা সমিতির মাকেটস্থ মো. ফারুকের মোটর পার্টসের দোকানে গিয়ে ভাংচুর শুরু করে এবং দোকানে থাকা মো. ফারুকের ভাই ইমরুল কায়েস শাকিবকে দা, লাটি সোটা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে।

একইদিন রাত সাড়ে ৯ টায় আহত শাকিবকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে টমটম গাড়ি যোগে আহত শাকিবসহ বাড়ি ফিরছিলেন মো. ফারুক। পথিমধ্যে বাইপাস সিটিপার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছলে শাকিবের উপর হামলাকারি মো. শাহীন, মো. শাকিল, মো. ফাহিম, মো. রায়হান ও আবু শামা গাড়িটির গতিরোধ করে। এসময় তারা মো. ফারুককে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লাটি-সোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।

তদন্তকারি কর্মকর্তা রামু থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন জানিয়েছেন, লিখিত এজাহার পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version