parbattanews

রামুতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হামলায় এলাকা ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী

রামুর ঈদগড়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর হুমকী ও হামলার শিকার হয়ে প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) বর্তমান চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভূট্টো।

গতকাল শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঈদগড় টুটার বিল নামক স্থানে তার পথসভায় হামলা চালানো হয়। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আলম তার কর্মী-সমর্থক, অস্ত্রধারী ভাড়াটে লোকজন এ হামলা চালায়। ওই সময় তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ এবং নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আহমদ ভূট্টো নিজেই।

রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রামু সদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ আহমদ ভূট্টো আরো বলেন- হামলা, হুমকী ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় তিনি আতংকিত হয়ে এলাকা ছেড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারনা আর অন্যান্য কাজে ব্যস্ত তার কর্মী-সমর্থকদের অবস্থা কতটা করুন হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, শনিবার রাত থেকে তিনি প্রাণভয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে এসেছেন। এখন তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তার পক্ষে কেউ প্রচার-প্রচারনা চালালে তাদের মারধর করা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী নুরুল আলমের সভা-সমাবেশ থেকেও দেয়া হচ্ছে প্রকাশ্য হুমকী।

ফিরোজ আহমদ ভূট্টো বলেন, আচরণ বিধি মেনে তিনি নির্বাচনী প্রচারনা ও কার্যক্রম চালিয়ে আসলেও প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রাথী নুরুল আলম শুরু থেকেই নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়া করার, ভোট কেন্দ্র দখল, নেতাকর্মীদের মারধর, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। এসব বিষয় তিনি প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলেও জানান। তিনি তাঁর নিরাপত্তা প্রদান সহ সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ফিরোজ আহমদ আহমদ ভূট্টোর কর্মী সমর্থদের মধ্যে ফরিদুল আলম, ওমর সুলতান, আবু বক্কর ছিদ্দিক, আহমদ হোছন বিপ্লব, কামাল শিশির উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে ঈদগড় ইউনিয়নে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, রামু থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম, ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর রিটার্ণিং অফিসার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামনুর রশিদ।

এসময় ঈদগড় বাজার চত্বরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তারা আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে আশ্বাস দেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন।

Exit mobile version