parbattanews

রামুতে বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

কক্সবাজারের রামুতে থানার পার্শ্ববর্তী গ্রামে দিনে দুপুরে বসত বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। বাড়ির সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে সংঘবদ্ধ চোর বাড়িটির ৪টি দরজার সবকটি তালা ও এবং আসবাবপত্র তছনছ করে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের সিপাহীরপাড়া এলাকায় মৃত মাস্টার মোহাম্মদ ফারুকের ছেলে মোজাচ্ছির হাসান মিনারের বাড়িতে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

ওই বাড়ির সদস্যরা জানান, ঘটনার পরপরই ৯৯৯ এ কল করে এবং থানায় গিয়ে অবহিত করার পরও পুলিশ তাৎক্ষণি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি বেলা সাড়ে ১১টায় চুরির ঘটনা ঘটলেও রাত দশটায় এ রিপোর্ট লেখাকালীনও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

বাড়ির গৃহকত্রী ফাতেমা বেগম জানিয়েছেন, চোরের দল বাড়ি প্রধান ফটকের দুটি এবং বাড়ির ভিতরে আরও তিনটি দরজার তালা ভেঙ্গে বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে। এসময় তারা আলমিরাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও তছনচ করে ৯ ভরি স্বর্ণের অলংকার, অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এ কারণে সকাল ১১টার পর তিনি রামু চৌমুহনী স্টেশনে ইনসুলিন নিতে যান। পৌনে ১২ টার দিকে বাড়িতে এসে তিনি দেখতে প্রধান দরজাসহ বাড়ির বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভাঙ্গা এবং বিভিন্ন কক্ষে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এসময় তিনি ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান। কিন্তু ৯৯৯ থেকে উল্টো তাকে থানার ডিউটি অফিসারের সাথে দেখা করার পরামর্শ দেন। নিরুপায় হয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে মেয়েসহ থানায় অভিযোগ জানাতে ছুটে যান। কিন্তু থানায় গিয়ে জানতে পারেন ডিউটি অফিসার খাওয়া দাওয়া করতে গেছে। দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর পুলিশ তাদের একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক একটি অভিযোগ দেন ফাতেমা বেগমের মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা শবনম মুশতারী। অভিযোগ জমা দেয়ার পর পুলিশ সন্ধ্যায় বাড়িটিতে যাওয়ার আশ্বাস দিলে ফাতেমা বেগম ও তার মেয়ে শেষ বিকালে বাড়িতে ফিরে যান।

রাত দশটায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, পুলিশ যাওয়ার কথা ছিলো। না গেলে এক্ষুনি যাবে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলেও জানান।

Exit mobile version