parbattanews

রামুতে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ

রামু প্রতিনিধি:

রামুতে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে জুমার খুতবায় সরকার বিরোধ বক্তব্যের প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় হয়রানির শিকার মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্তপূর্বক জরুরী ভিত্তিতে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের অফিসেরচর লামার পাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হারুন অর রশিদের ছেলে এজাওয়াত উল্লাহ মোহাববত বাদি হয়ে এ অভিযোগটি দিয়েছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়ির পাশের খোন্দকারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. একরাম দীর্ঘদিন মসজিদে জুমার খুতবায় সরকার বিরোধী বক্তব্য এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করে বয়ান করে আসছিলেন। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি এবং তাঁর ভাইয়েরা মসজিদ কমিটির নিকট প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম মো. একরাম স্থানীয় আরও কতিপয় দুষ্কৃতিকারীদের সহায়তায় মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদের পরিবারের সদস্যদের দেখে নেয়ার হুমকী দেন। এমনকি তাঁর পিতার মুক্তিযোদ্ধার খেতাব নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করার পাশাপাশি কবরে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাম ফলক ভেঙ্গে দেয়ার হুমকী দেন।

অভিযুক্ত খোন্দকারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. এশরাম রামুর রাজারকুল ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ তৈয়বের ছেলে।

অভিযোগকারি এজাওয়াত উল্লাহ মোহাববত জানান, তাঁর পিতা হারুন অর রশিদ একজন নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা। যার সনদ নং ২৯১০৫/০৭-০৯-২০০০ এবং গেজেট নং ২০৭।

গত বছর ১১ মার্চ তিনি মারা যান।

বর্তমান মসজিদের ইমাম মো. একরাম ও তার সহযোগী দুষ্কৃতিকারীদের অব্যাহত হুমকীর কারণে বর্তমান তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এজন্য তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ইমাম ও সহযোগীদের শাস্তি দাবি করেছেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান জানান, সরকার বিরোধী বক্তব্য এবং মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়ার বিষয়টি দু:খজনক। এটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি কে নির্দেশ হয়েছে।

রামু থানার ওসি আবুল মনসুর জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ইমাম মো. একরাম এর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Exit mobile version