parbattanews

রামুতে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা, ২ বখাটের কারাদণ্ড

কক্সবাজারের রামুতে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অটোরিক্সায় তুলে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে ২ বখাটে। পরে ইউএনও’র নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দুই যুবককে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

সোমবার (২১ আগস্ট) সকাল পৌনে ৯টায় রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের টিলাপাড়া এলাকায় এ অপহরণ চেষ্টার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা গুদাম কাটা এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে আবদুল হক (২০) ও নুর আহমদের ছেলে রেজাউল করিম (২১)। এদের মধ্যে আবদুল হককে ১ বছরের এবং রেজাউল করিমকে ৬ মাসের সাজা দেয়া হয়েছে।

উখিয়ারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজ উদ্দিন জানান, সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সাজেদা আকতার শিফা (১৩) আরও কয়েকজন সহপাঠির সাথে বিদ্যালয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে টিলাপাড়া এলাকায় পৌঁছলে আবদুল হক ও রেজাউল নামের দুই বখাটে তাদের গতিরোধ করে। এসময় বখাটেরা অপহরণের উদ্দেশ্যে সাজেদা আকতার শিফাকে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক একটি সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে নেয়। এসময় ওই ছাত্রী আর্তচিৎকার দিলে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে অপহরণে জড়িত আবদুল হক ও রেজাউল করিমসহ সিএনজি গাড়িটি আটক করে। স্থানীয়রা বিষয়টি তাকে অবহিত করলে তিনি ৯৯৯ এ ফোন করেন। এরই প্রেক্ষিতে রামু থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বখাটে আবদুল হক ও রেজাউল করিম এবং অপহরণকারী চক্রের কবল থেকে উদ্ধার হওয়া ছাত্রীকে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা জানান, ৫ম শ্রেণি পড়–য়া ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে আবদুল হককে ১ বছরের এবং রেজাউল করিমকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

উখিয়ারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান জানান, ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় দুই বখাটের কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উৎফুল্ল অভিভাবকরা জানান, এ গ্রামে ইভটিজিং নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এভাবে হাতে-নাতে আটক ও সাজা দেয়ার ফলে এ ধরনের অপরাধ অনেকখানি কমে যাবে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে আর আতঙ্কে থাকবে না।

Exit mobile version