parbattanews

রামুর কচ্ছপিয়ায় আলোচিত মোকতার হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

কক্সবাজার রামুর কচ্ছপিয়ায় আলোচিত মোকতার আহমদ হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে হত্যাকারীরা। এজন্য স্বাভাবিকভাবে মৃত প্রসব হওয়া নবজাতককে হত্যার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলার বাদী ও স্বজনদের হয়রানি করার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মোকতার আহমদ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোহেল রানার স্ত্রী রেশমা মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে মৃত কন্যা শিশু প্রসব করেন। যথারীতি কবর দেয়ার জন্য দাফনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মৃত নবজাতক শিশুটিকে ময়নাতদন্তের জন্য গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ শিশুটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।

প্রসবকালীন নবজাতকের ধাত্রী নুর নাহার জানান, মায়ের পেঠেই শিশুটি মারা যায়। তিনি মৃত অবস্থাতেই শিশুটি প্রসব করান। নবজাতক শিশুটি কোন আঘাতপ্রাপ্তও ছিলো না।

উল্লেখ্য গত ২০ ডিসেম্বর রাতে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া পাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান বৃদ্ধ মোকতার আহমদ (৬৫)। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়া সোহেল রানাসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন নিহত মোকতার আহমদের ছেলে জসিম উদ্দিন।

মামলার বাদী জসিম উদ্দিন জানান, বাবার হত্যাকারীরা এখন উল্টো তাদের হয়রানি করার জন্য মৃত প্রসব হওয়া নবজাতক শিশুকে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

তিনি আরো জানান, স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবু তাহেরের ছেলে সোহেল ও তার সহযোগী রাসেলসহ একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে তার পিতা মোকতার আহমদের কাছে চাঁদা দাবী করে আসছিলো। চাঁদা না দেয়ায় পিটিয়ে তার বাবা মোকতার আহমদকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই মনির উদ্দিনও গুরুতর আহত হয়েছেন।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ কেউ করেনি। করলেও তা যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কাউকে হয়রানি করা যাবে না।

Exit mobile version