parbattanews

রামুর কচ্ছপিয়ায় স্মার্ট কার্ড পেতে চরম ভোগান্তি

কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণে চরম হয়রানি হচ্ছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার এই কার্ড পেতে শত শত মানুষের অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত দীর্ঘ লাইনে দেখা গেছে নারী ও বয়ষ্ক মানুষকে। এতে করে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।

জানা গেছে, কচ্ছপিয়ায় বেশিরভাগই মানুষ কাজে না গিয়ে হাতে দুই-এক ঘন্টা সময় নিয়ে কার্ডের জন্য এসেছেন। আবার কেও রিকশা, অটোরিকশা চালানো বন্ধ করে স্মার্ট কার্ড নিতে যান। কিন্তু এইসব কর্মজীবী ও সাধারণ মানুষের কার্ড নিতে এসে ভোগান্তির শেষ ছিল না।

ভ্যান গাড়ি চালক নবী উল্লাহ তার স্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন কার্ডের জন্য কিন্তু কার্ডে পিতার নামের পরিবর্তে স্বামীর নাম থাকায় তিনি কার্ড পাননি।

দৈনিক মজুরীতে কাজ করেন শাহাজাহান তিনি জানান, আমি দৈনিক বেতনে হোটেলে চাকরী করি। কার্ড পাওয়ার আশায় সকাল থেকে এসে অপেক্ষা করছি, কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও কার্ড পাইনি। তারমানে আজকের আয় রোজগার বন্ধ।

তামাক ক্ষেতে কাজ করেন খতিজা বেগম, হাতে এক ঘন্টার সময় নিয়ে কার্ড নিতে এসেছিলেন। এসে দেখি অনেক মানুষ। কি করবো কোথায় কিভাবে কার্ড পাবো কিছুই বুঝতেছি না। তার মতো শত শত নারী পুরুষ এই হয়রানির শিকার হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্মার্ট কার্ড নেয়ার জন্য পূর্বের জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাংলাদেশ এনআইডি পোর্টাল থেকে একটি বক্স নাম্বার ও কম্পার্টমেন্ট নাম্বার বের করে দিচ্ছে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহের জন্য ক্যাম্পের লোকজন।

কার্ড নিতে আসা আরো অনেকেই বলছেন, সব মানুষকে একত্রিত না করে ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্ড দেওয়া যেতো। এতে মানুষের হয়রানি কমে যেতো। নির্বাচন অফিসের খামখেয়ালীপনা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় না করার কারণে এমন দূর্ভোগে পড়ে মানুষ।

এই প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাইল নোমান বলেন, কার্ডের জন্য এসে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট অনেকেই আমার কাছে প্রকাশ করেছেন। আমি নিজেও দেখেছি মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং পুরুষ ও নারীদের পৃথক সময়ে কার্ড বিতরনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে ১৯ মার্চ শুক্রুবার থেকে।

নির্বাচন অফিসের ১০ জন ডাটা অপারেটর, ৪ জন ল্যাপটপ সার্চিং এবং কার্ড সার্চিং সমন্বয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।

১৯ মার্চ শুরু হওয়া এই বিতরণ কাজ রবিবার পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহফুজুল ইসলাম।

Exit mobile version