রামুর খুনিয়াপালংয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৫


রামুর খুনিয়াপালংয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় দোকান মালিকসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার, ১ নভেম্বর বিকালে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর খুনিয়াপালং গ্রামের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের স্কুল পাহাড় এলাকায় রাহামাত উল্লাহর ইলেকট্রিক সামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার, ৩ নভেম্বর রামু থানায় মামলা (নং ৭) দায়ের করেছেন হামলার শিকার ব্যবসায়ি রাহামাত উল্লাহ।
হামলায় আহতরা হলেন- আলী আহমদ, মো. আবদুল্লাহ, মো. ইমরান ও রেজাউল করিম।
এ নিয়ে থানায় দায়েরকৃত মামলায় ৭ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন- ওই এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক ভেইঙ্গা, আবদুর রহমানের ছেলে মো. জয়নাল, জামাল উদ্দিন ও নুরুল আলম, হাসান উল্লাহর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত।
মামলার এজাহার ও হামলায় আহতদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আব্দুল মালেক ভেইঙ্গা, মো. জয়নাল, জামাল উদ্দিন, নুরুল আলম, ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ি রাহামাত উল্লাহর ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র, দা, লাটি-সোটা নিয়ে হামলা ও লুটপাট শুরু করে। এসময় বাঁধা দেয়া হামলাকারিরা রাহামাত উল্লাহ কুপিয়ে আহত করে। এসময় ব্যবসায়ি রাহামাত উল্লাহকে বাঁচাতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা আলী আহমদ, মো. আবদুল্লাহ, মো. ইমরান ও রেজাউল করিমকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাটি-সোটা দিয়ে পিঠিয়ে আহত করে হামলাকারিরা। হামলাকারিরা রাহামাত উল্লাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার দুদিন সোমবার, ৩ নভেম্বর হামলায় জড়িতদের অভিযুক্ত করে লিখিত এজাহার দেন হামলার শিকার দোকান মালিক রাহামাত উল্লাহ। পুলিশ এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে।
রামু থানার ওসি আরিফ হোছাইন জানিয়েছেন- অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশী অভিযান চলছে। তিনি আরও জানান- হামলাকারিদের বিরুদ্ধে থানায় আরও মামলা রয়েছে।
মামলারবাদী রহমত উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, তাঁর দোকানে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। দোকানের টাকা ও মালামাল লুট করেছে। এ ঘটনার পরও হামলাকারীরা আবারও তাঁকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

















