Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রামুর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে ৬টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

বাইশারী প্রতিনিধি:

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে কক্সবাজারের রামুর দূর্গম গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়ার কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেছে পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থা। এরেই মধ্যে প্রশাসন ৬টি ভোট কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে।

আর বাকি কেন্দ্র গুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান স্থানীয় প্রশাসন।  তাই এসব কেন্দ্রে নিরাপত্তা ছক তৈরি করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ ভোটাররা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ না করে তা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি করেন ঐক্যফন্ট নেতারা। রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৬টি।

সেই গুলো হলো, গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ক্যাজরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝির কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বজুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থোংয়াঙ্গারকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং বড়বিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তথ মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভোটাররা চিহ্নিত করেছে ২টি। সেই গুলি হলো, গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্বজুমছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৫টি।

সেগুলো হলো, গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা,  শুকমুনিয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভির কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কচ্ছপিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তথ মধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ভোটাররা চিহ্নিত করেছে ৪টি কেন্দ্র। সেই গুলো হলো, গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গর্জনিয়া ফয়জুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা, শুকমুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভীর কাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি দিদারুল আলম জানান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে উল্লেখিত ২ কেন্দ্র ছাড়াও প্রায় সব কেন্দ্রে নৌকা সমর্থকরা প্রভাব বিস্তার করে অস্ত্রের হাতে কেন্দ্র দখল করার হুমকি দিচ্ছে। কচ্ছপিয়া বিএনপির একাধিক নেতা ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্র গুলোতে, সার্বক্ষনিক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রাখার দাবি জানান।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সিকাদার জানান, তিনি এখন কোন মন্তব্য করবেন না। তবে তারা বসে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবেন বলে জানান। কচ্ছপিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম সেলিম জানান, দীর্ঘদিন পরে হলেও এবারের জাতীয় নির্বাচন উৎসব মুখর ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আয়োজন করছে প্রশাসন। তাই তিনি জেলা শহরের পাশাপাশি গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউছুফ মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ব্যস্ত আছেন বলে মোবাইল কেটে দেন।

পরে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফরিদ চৌধুরী জানান, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। তবে বিএনপি জামায়াতের নেতারা ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র গুলো দখল করবে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

গর্জনিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা গোলাম মওলা চৌধুরী জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে তাদেরকে বিভিন্ন সময় কেন্দ্র দখল ও ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তারা ভোটের দিন ওই সব কেন্দ্র দখল করবে বলেও অভিযোগ করেন মওলা।

এই ব্যাপারে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবুল মনসুর জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি থাকবে। এ জন্য পুলিশের স্থানীয় ইউনিটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন