parbattanews

রামুর গর্জনিয়া-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কে সেতু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হাজার হাজার মানুষের দূর্ভোগ

রামু প্রতিনিধি:

রামু-গর্জনিয়া বাজার সড়কের ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি খালের স্টীল ব্রীজটি বুধবার (২৩ জুলাই) রামুগামী কাঠ ভর্তি ভারি ট্রাকের ধ্বসের ঘটনায় গত ২ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন থাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়ত নিয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। বুধবারের ট্রাক উল্টের ঘটনায় চালকসহ গুরুতর আহত ৮ জন নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে চিতিৎসাধীন রয়েছেন।

সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্টীল নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় ভারি যানবাহন চলাচলে সেতুটি সংস্কারের উপযোগী হয়ে পড়ে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে অবস্থিত বিজিবি ক্যাম্পের জোয়ানরা বেশ কয়েকবার সংস্কার করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সেতুটি সংস্কারে অবহেলা ও হাফেলতি ছিল বেশী।

অন্যদিকে ভারি যানবাহন চলাচল না করার জন্য নির্দেশনা সাইন বোর্ড দেওয়ার পরও অসাধু কাঠ চোর ও বিভিন্ন কোম্পানি কর্মকর্তা-কর্মচারি নিজেদের স্বার্থে আইন অমান্য করে অতিরিক্ত পন্য বাহি যানবাহন ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম পিপিএম জানান, অতিরিক্ত কাঠ নিয়ে আসা ট্রাকের ভারে ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা গুরুত্বর।

প্রতক্ষ্যদর্শী মাওলানা আবুল ফজল জানান, কাঠ ভর্তি চট্ট মেট্রো-ট-১১-৩৪৩১ নাম্বারের ট্রাকটি গর্জনিয়া বাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়ার পথে স্টীল ব্রীজ পার হতে গিয়ে ব্রীজের পশ্চিম অংশে যেতে না যেতেই বিকট শব্দে ট্রাকসহ ব্রীজটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়।

ট্রাকের হেলপার জয়নাল আবেদীন জানান, এ ঘটনায় আহত হয় আট জন। এরা হলেন খুনিয়া পালংএর দিদারুল আলম (২৩), আবদুল গফুর (২৭), শাহ আলম (২৪) আমানুল হক (২১), ছাবের আহমদ (৩১। তবে বাকি ৩ জনের নাম পাওয়া যায়নি। আহতদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ট্রাক ভর্তি কাঠ গুলো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ী এলাকা লেবুছড়ি এলাকা থেকে আনা হচ্ছিল।

Exit mobile version