parbattanews

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়িতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম পুুতুর বসত বাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১৩ মার্চ) বিকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালী এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নুরুল কবির পুতুর স্ত্রী হাফেজা আক্তার জানিয়েছেন, হামলাকারিরা বাড়ির আলমিরাসহ যাবতীয় আসবাবপত্র, মোটর সাইকেল, একাধিক মোবাইল ফোন সেট সহ বিপুল মালামাল ভাংচুর ও কেটে চূর্ণবিচূর্ণ করে। হামলাকারীরা তার স্বামী যুবলীগ নেতা নুরুল কবির পুতুকে হত্যার চেষ্টা চালালে তিনি তাতে বাঁধা দেন। এতে হামলাকারীরা তাকে মারধর এবং শ্লীলতাহানি করে। এসময় স্বামী পালিয়ে আত্মরক্ষা করলে হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির বিভিন্ন কক্ষে আধা ঘন্টা তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ির সব মালামাল লণ্ডভণ্ড করে দেয়। হামলাকারীরা আলমিরা থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের অলংকার সহ বিপুল মালামালও লুট করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা সবাই দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টোর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন। এসব হামলাকারীরা হলো চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো স্ত্রীর ভাগিনা আল রিফাত (২৮), আল ইমরান (৩০), কামরান (২৫), আদিব (১৮) ও সোহান (২০), চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টোর স্ত্রীর ভাই নুরুল আজিম (৩৩), নুরুল আমিন (৪০) ও নুরুল কবির (৪৫) এবং চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টোর স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে মুন্না। কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে চেয়ারম্যান ইউনুচ ভূট্টো।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, হামলার পর হামলাকারীরা উল্টো যুবলীগ নেতা নুরুল করিম পুতুকে ফাঁসাতে নিজেদের একটি বাড়িতে পাল্টা হামলার নাটক সাজিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বর্বরোচিত এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় পুরো এলাকায় চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রবিবার (১৪ মার্চ) সকালে তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে যান। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। যুবলীগ নেতা নুরুল করিম পুতুর পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় এজাহার দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version