রামুর দুর্গম পাহাড়ের খামার থেকে মায়া হরিণ উদ্ধার
কক্সবাজারের রামুতে ক্রেতা সেজে হরিণ দুটিকে উদ্ধারের আয়োজন করেন পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশ’–এর চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। পরে দুর্গম পাহাড়ের একটি খামার থেকে গত শুক্রবার রাতে দুটি মায়া হরিণ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। অসুস্থ হয়ে পড়ায় হরিণ দুটিকে রাতেই চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হরিণ উদ্ধারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার (উত্তর) বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বনাঞ্চল থেকে ধরে এনে মায়া হরিণ দুটি রামু উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের নাপিতা ঘোনা এলাকার চৌধুরী খামারে আটকে রাখা হয়। সেখান থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণ দুটি খামারে আটকে রাখার খবর পেয়ে সেভ দ্য নেচার অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ক্রেতা সেজে সেগুলো উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। পরে রামু থানার পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে দুর্গম পাহাড়ের খামার থেকে মায়া হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। বুনো হরিণ আহরণ ও বিপণন নিষিদ্ধ। ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হরিণ দুটির চিকিৎসা চলছে।
বন বিভাগ ও পুলিশ জানায়, অভিযানের খবর পেয়ে খামারের লোকজন জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বন বিভাগের বাঁকখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা সরোয়ার জাহান বলেন, হরিণ দুটি মায়া হরিণ জাতের। বিক্রির জন্য গহিন বন থেকে হরিণ দুটি ধরা হয়েছিল। পাচারকারীদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।