রামুর বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করলেন ৮ দেশের পর্যটনমন্ত্রী
রামু প্রতিনিধি:
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মহাসচিব তালেব রিফাই বলেছেন রামুর বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো এদেশের পর্যটন শিল্পের নতুন সম্ভাবনা হয়ে উঠতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বিভিন্ন নিদর্শন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এ কথা বলেন। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে রামুতে পৌঁছে প্রথমে পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে চীন, ভিয়েতনাম,ভূটান, কম্বোডিয়া, আফগানিস্তান, নেপাল, ও ভারতের পর্যটনমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের এ প্রতিনিধি দলটি রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও ভুবনশান্তি ১০০ ফুট গৌতম সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি পরিদর্শনে যান।
এসময় বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত করুণাশ্রী থের’র নেতৃত্বে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ধর্মীয় নেতারা অতিথিদের স্বাগত জানান। পরে তারা একুশে পদকে ভূষিত, উপ-সংঘরাজ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এবং তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
পরে সেখান থেকে ঐতিহাসিক তীর্থধাম রামকোট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। শেষে রামু সেনানিবাসে যান তাঁরা। এসময় পরিদর্শনকালে তাঁদের সাথে ছিলেন রামু-কক্সবাজার সদর ৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান , রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিনা কাজী, রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মজিদ, দৈনিক কক্সবাজার বার্তার নির্বাহী সম্পাদক দুলাল বড়ুয়া এবং রামু নিউজ ডটকম এর প্রধান সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, রামু ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিপন বড়ুয়া, বৌদ্ধ নেতা সঞ্জয় বড়ুয়া, প্রসেনজিৎ বড়ুয়া, সুরেশ বড়ুয় প্রমূখ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বৃন্দ।
এরপর সেখান থেকে পুনরায় শহরে ফিরে প্রতিনিধি দলটি হেলিকপ্টার যোগে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।