parbattanews

বান্দরবানের রাম জাদী মন্দিরে কলেজ শিক্ষকের উপর হামলা

maxresdefault

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে রাম জাদি মন্দিরে পর্যটক ও বান্দরবান সরকারী কলেজের প্রভাষকের উপর হামলা চালিয়েছে বৌদ্ধ ভিক্ষু উচহ্লা ভান্তের শিষ্যরা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রতিষ্ঠানটির ইনচার্জ।

সূত্র জানায়, বান্দরবান রাজগুরু বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ও উ প ঞা জোত থের প্রকাশ উচহ্লা ভান্তে পরিচালিত কালাঘাটা এলাকার রাম জাদি মন্দিরের বৃহস্পতিবার বান্দরবান সরকারী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক বিজয় ভৌমিক তার স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও বৌদিকে নিয়ে রাম জাদি মন্দিরে পুজা দেয়ার উদ্দেশ্য ১৫ টাকার টিকেট কেটে মন্দির এলাকায় প্রবেশ করে। মূল মন্দিরে পুজার উদ্দেশ্য প্রবেশকালে বাঁধা দেয় বৌদ্ধ ভিক্ষু উচহ্লা ভান্তের শিষ্য শোভনা প ঞা প্রকাশ কালা ভান্তে। এক পর্যায়ে কালা ভান্তে উক্ত প্রভাষকের ভাই ও তার সন্তানদের গলা ধাক্কা দিয়ে রেব করে দেয়। এ ঘটনার প্রভাষক প্রতিবাদ করলে তার শার্টের কলার ধরে টানা হেঁচড়া করে। এসময় তার স্ত্রী ও সন্তানরা ভয়ে চিৎকার শুরু করে।

প্রভাষক বিজয় ভৌমিক পার্বত্যনিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুজা দেয়া ও মন্দির দর্শনের ইচ্ছায় পরিবার, পরিজন নিয়ে রাম জাদি মন্দিরে যাই। সিঁড়ি বেয়ে ওঠা কষ্ট বিধায় আমি নিচে চায়ের দোকানে বসে থাকি অন্যরা উপরে যায়। তারা পুজা দিতে মন্দিরে প্রবেশকালে মন্দিরের ইনচার্জ শোভনা ভিক্ষু প্রকাশ কালাভান্তে বাঁধা দেয়। তারা বলে, ১৫ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে মন্দিরে পুজা ও দর্শন করতে এসেছি। এ ঘটনার কালা ভান্তে উত্তেজিত হয়ে আমার ভাই ও ছেলেদের ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দেয়ার প্রতিবাদ করলে তার সাঙ্গরা লাঠি দিয়ে তেড়ে আসে। তারা ভয়ে নিচে চলে আসে।

তিনি বলেন, এ ঘটনা শুনে টিকেট কাউন্টারে বসা লোকের কাছে কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে কলার চেপে ধরে। আমার পরিচয় দেয়ার পরও তারা নানা কটুক্তি করে।

এ বিষয়ে কালা ভান্তে পার্বত্যনিউজকে জানান, তারা পুজার কোন অনুষঙ্গ নিয়ে আসেনি। এছাড়া মন্দিরে কাজ চলে তাই তাদের প্রবেশে বাঁধা দিয়েছে। মারধরের মত কোন ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পর্যটকরা বেশী বাড়াবাড়ি করলে স্বর্ণ মন্দিরের মত এটাও বন্ধ করে দেয়া হবে। আমাদের এখানে পর্যটক না আসলে আমরা খুশি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সরকারকে কোন রাজস্ব দিই না।

এদিকে আরেকটি সূত্র জানায়, প্রতিদিন শতশত দর্শানার্থী রাম জাদি মন্দিরে যায়। দৈনিক কমপক্ষে ৫০০ জন দর্শনার্থি হলে জনপ্রতি ১৫ টাকা হিসেবে ৭৫০০ টাকা আয় হয়। মাসে দু-লক্ষ পঁচিশ হাজার আর বছরে দু-কোটির উপরে। এ থেকে একটাকা ও সরকারকে রাজস্ব দেয়া হয় না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক পার্বত্যনিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসন পরিচালিত পর্যটনগুলোর আয় থেকে সরকারকে রাজস্ব দেয়া হয়। রাম মন্দিরে প্রবেশকালে টাকা দিয়ে টিকেট নেয়া হয় কিনা আমার জানা নেই। প্রবেশকালে যদি টিকেট দেয় তবে সরকারকে অবশ্যই রাজস্ব দিতে হবে।

Exit mobile version