parbattanews

রিক্সার প্যাডেল আর ঘুরাতে পারে না পানছড়ির কামিনী

পানছড়ি উপজেলার রবিশিং কার্বারী পাড়ার রুপাধন চাকমা ও সূর্যমুখী চাকমার ছেলে কামিনী চাকমার বয়স প্রায় সত্তর। দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে রিক্সার প্যাডেল ঘুরিয়ে দাবড়িয়েছে পানছড়ির এপার-ওপার।

বয়স তার প্যাডেল ঘুরানি আটকাতে পারেনি। হঠাৎ স্টোক করে সে এখন বিছানায় শুয়ে-বসে মানবেতর দিনযাপন করছে। যা অনিচ্ছাকৃতভাবে প্যাডেল ঘুরানি থেকে অবসর নিতে হয়েছে।

নিজের কোন জায়গা-জমি নেই। দুর সম্পর্কের এক বোনের জায়গায় জোড়াতালির ঘরেই বাস করছে সহধর্মিনী জ্যোতিকা চাকমা ও অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সনাক্ক চাকমাকে নিয়ে।

সরেজমিনে পানছড়ি ডিগ্রী কলেজের পাশেই রবিশিং কার্বারী পাড়ার ঘরে গিয়ে দেখা মিলে নিত্য প্যাডেল মেরে ঘুরে বেড়ানো সেই পরিচিত মুখটি। পাশের বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় ভাঙ্গা-চোরা অবস্থায় পড়ে আছে তার স্বপ্নের রিক্সা।

এই প্রতিবেদককে দেখেই তার স্বস্তির হাসি। বিছানা থেকে উঠার চেষ্টা করে যেন মেহমানদারীর জন্য সহধর্মিনীকে খুঁজছে। এলাকাবাসী ও তার সহধর্মিনী জানালো স্টোক করার পর থেকেই সে বিছানায় পড়া। কেউ দয়া করে ঔষধ কিনে দিলে তা দিয়েই চলে। নিজেদের ঔষধ কিনার সাধ্য নেই বলে জানালেন।

চিকিৎসার জন্য শরনার্থী রেশন কার্ডখানা বন্ধক দেয়া হয়েছে। এখন সম্পুর্ন সরকারি ত্রাণের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে পুরো পরিবার।

সরকারি ত্রাণ পেলেই চুলো জলে। কামিনীর দাবি ভালো চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে দাঁড়াতে পারবে। চিকিৎসার টাকা তার নেই। বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব জানান, লোকটি দীর্ঘ বছর ধরে রিক্সা চালিয়ে বর্তমানে পঙ্গু অবস্থায় বাড়িতে পড়ে আছে। তার এই মানবেতর দিন যাপন সত্যিই দু:খজনক। তাকে কিভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে।

Exit mobile version