parbattanews

রুমায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক মহিলা মেম্বারকে লাথি মারার অভিযোগ

রুমা প্রতিনিধি:

বান্দরবানের রুমায় এক মহিলা মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলায় আলোচনা ঝড় ওঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মারধরের শিকার মহিলা মেম্বার জানায় বুধবার(৩মার্চ) দুপুরে রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এক খাবার হোটেলে ভাত খেতে থাকা অবস্থায় পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা(৪৮) সেখানে যান।

ওই সময় নতুন চাকরি পাওয়া মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা(৩০) এর পদত্যাগের কথা নিয়ে চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বারের মধ্যে অকথ্য ভাষায় বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দেয়। তখন পাশে থাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং তাদের ঝগড়া থামিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার সকালে(৪মার্চ)মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা তাকে শারারিকভাবে লাঞ্চিত করার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার আগেই স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান  উহ্লা চিং মারমা তাঁর বাসায় ডেকে পাঠান।

উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায়  ঘটনার বিষয়ে পর্যালোচনা করার পর পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামকে তার কৃতকর্মের জন্য মহিলা মেম্বারকে মৌখিকভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। তবে ইউপি চেয়ারম্যান তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইতে রাজি হয়নি।

জানতে চাইলে চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত আসনে মহিলা মেম্বার এর আগে তাকে(চেয়ারম্যান) দুইবার ও তার সহধর্মীনিকে একবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন এবং অল্প কথায় মারমুখি হয়। তাই তাকে পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি। তিনি বলেন, তিনি কৃতকর্মের জন্য মহিলা মেম্বার এর কাছে ক্ষমা চাইবেন না। প্রয়োজনে ১০বছর জেলে থাকতে রাজি বলে জানালেন উহ্লামং চেয়ারম্যান।

এ ব্যাপপারে জানতে চাইলে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি বসে মিমাংসা করা হয়েছে। এখন উহ্লামং চেয়ারম্যানের প্রতি মহিলা মেম্বার কোনো অভিযোগ নেই।

তবে মহিলা মেম্বার ছোমাচিং বলেছেন কোনো মিমাংসা হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে সময় ও সুযোগ বুঝে থানায় সাধারণ ডাইরী(জিডি) করবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা।

রুমা থানা অফিসার ইনচার্চ বলেন মহিলা মেম্বার থানা উপস্থিত হলেও কেউ একজন তাকে (মহিলা মেম্বার) মুঠোফোনে ডাক দেয়ায় থানা থেকে চলে যায়। তাই এব্যাপারে কোন মামলা বা জিডি হয়নি থানায়।

Exit mobile version