parbattanews

রুমায় এলজিইডি’র রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়ম

বান্দরবানের রুমা উপজেলার বটতলীপাড়া-গালেঙ্গ্যা রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া দিয়ে ইতোমধ্যেই অধিকাংশ কাজ শেষ করেছে ঠিকাদার। যার কারণে কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বরাদ্দে ১১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সনের আগস্ট মাসে রুমা-বটতলীপাড়া রাস্তা থেকে গালেঙ্গ্যা অফিস পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং করণের কাজ শুরু হয়। কাজটি করছেন ঠিকাদার রতন কান্তি দাশ।

রাস্তাটিতে ইটের খোয়া দেড় ইঞ্চির কথা বলা হলেও এতে ব্যবহার হয়েছে বড় ইটের টুকরো। ইতোমধ্যে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত মেগাডম (ইটের খোয়া) বিছানো হয়েছে। বড় খোয়া দিয়ে মেগাডমের কারণে কার্পেটিংয়ের সময় বড় খোয়া-বিটুমিন মেশাতে বিঘ্নিত হয়ে ফাঁক হয়ে যেতে পারে। যার কারণে কার্পেটিং ওঠে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে গেছে।

স্থানীয়দের মতে, কাজের শুরু থেকে দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলীরা চাইলে ঠিকাদারের এ অনিয়ম বন্ধ করতে পারতো।

এছাড়া সাইটে এ্যাজিং মেগাডম থেকে পরিষ্কার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এ অবস্থায় রাস্তার কার্পেটিং ওঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে গেছে।

সরেজমিনে কাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঠিকাদার-ইঞ্জিনিয়ার যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, তারা সেভাবে কাজ করছেন।

এই প্রসঙ্গে কারবারী ক্যশেঅং মারমা জানান, তার জায়গা থেকে পাহাড় কেটে বালু নিলেও এখনো সব টাকা পরিশোধ করেনি ঠিকাদারের লোকজন। মাখ্যাই চিং (৩৭) জানান, রাস্তায় একটি ইটকে মাত্র তিন ভাগ ভেঙ্গে ছোটগুলো সাথে দিতে দেখেছেন।

কাজে ইটের বড় খোয়া ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পার্বত্যনিউজকে ঠিকাদার রতন কান্তি দাশ বলেন, কিছু ইট নরম আছে, এগুলো ইঞ্জিনিয়ারের কথানুযায়ী রাস্তার এক স্থানে না দিয়ে বিভিন্ন অংশে দিয়েছি। তবে ইঞ্জিনিয়ারের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।

এদিকে এই প্রসঙ্গে রুমা উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ বলেন, এমন অভিযোগ তিনি শুনেননি। তবে উপ-সহকারীকে পাঠিয়ে খোঁজ নিবেন। প্রয়োজনে তিনি নিজে সরেজমিনে গিয়ে ব্যবস্থা নিবেন।

Exit mobile version