parbattanews

রুমায় জেএসএস সন্ত্রাসী আটক গুলিসহ ২ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বান্দরবানের রুমা থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ একজন মারমা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

আটক মারমা সন্ত্রাসীর নাম শৈ লা প্রু মারমা(৫১)। তিনি রুমা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার।

সূত্র জানিয়েছে, রুমার একটি উপজাতীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ সীমান্তের ওপার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি ও দেশীয় জঙ্গীদের কাছে বিক্রির চেষ্টা করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী স্থানীয় বিভিন্ন উপজাতীয় সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের উপর গোপন নজরদারী চালিয়ে আসছিলো গত ২ মাস ধরে।

বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে গোয়েন্দাদের নিশ্চিত খবরের প্রেক্ষিতে যৌথবাহিনীর একটি দল রুমা থানার একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ও মংপ্রু মারমার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশীর এক পর্যায়ে রাত আড়াইটার দিকে রুমা বাজারের সন্নিকটে মংপ্রু মারমার বাড়ির একটি কক্ষের ভেতর থেকে একটি পলিথিনের ব্যাগ উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।

পরে ব্যাগটি তল্লাশী করে দুইটি বিদেশী ২২ বোর পিস্তল, ১ রাউন্ড এম-১৬ রাইফেলের গুলি, ৬ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত পিস্তলের মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় ও অপরটি সিঙ্গেল লোডেড এবং আটককৃত টাকা অস্ত্র কেনা বেচার উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল বলে যৌথবাহিনী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে। অস্ত্রগুলো মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ এএলপি নিকট থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকতে পারে এবং তা দেশীয় জঙ্গীদের কাছে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা আদায়ই উদ্দেশ্য ছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সূত্রটি।

আটক মংপ্রু মারমা জেএসেএসর রাজনীতির সাথে জাড়িত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে এই অস্ত্র ও টাকার সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে জানিয়েছে কেউ তাকে ফাঁসাতে তার বাড়িতে এই অস্ত্র রেখে গেছে। তাকে রাতেই রুমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম পার্বত্যনিউজকে এ আটকের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, আটককৃত ব্যক্তি জেএসএস রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি স্থানীয় মেম্বার। তার বিরুদ্ধে থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করার পর আদালতে চালান করা হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, রুমা থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মং মং চিং মারমা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি পার্বত্য সমস্যা সমাধান, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও এই এলাকায় শান্তি স্থাপনের স্বার্থে অবিলম্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক এ ধরনের হীন কর্মকান্ড বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট জোর আহ্বান জানিয়েছেন।

Exit mobile version