parbattanews

রেজুখালে জোয়ারের লবণাত্বক পানি ঢুকায় পরিবেশ বিপর্যয়’র আশঙ্কা

 

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার রেজুখালে জোয়ারে লবণাত্বক পানি ঢুকার কারণে ফসলি জমিসহ বসত বাড়ির ফলজ গাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় টিউবওয়েল’র পানিও লবণাত্বক হওয়ায় খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়  আশঙ্কা রয়েছে। সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঠেকাতে রেজুখালে ক্রসবাঁধ দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।

জানা যায়, উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে রেজুখাল। শুস্কমৌসুমে প্রতিদিন দু’বার জোয়ার ভাটার পানি প্রবেশ করে থাকে। বিশেষ করে সামুদ্রিক লবণাত্বক পানি প্রবেশ করার কারণে খালের তীরের বসবাসরত অসংখ্য ঘর বাড়ির ফলজ গাছের মড়ক দেখা দেয়। এমনকি ওই খালের পানি দিয়ে বুরো মৌসুমে চাষাবাদ করাও যায় না। ফলে বিপুল পরিমান জমি অনাবাদী থেকে যায়।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, রেজু খালের তীরে পূর্ব পাইন্যাশিয়া, বড়ুয়া পাড়া, কুমার ঘাট, চর পাড়া, পিনিজিরকুলসহ প্রায় বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের বসতি রয়েছে। পিনিজিরকুল গ্রামের প্রবীন বাসিন্দা শফিকুর রহমান শকু (৬৮) জানান, রেজু খালে সামুদ্রিক লবণাত্বক পানি প্রবেশ করার কারণে টিউবওয়েলের পানি খাবার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পূর্ব পাইন্যাশিয়া গ্রামের আবুল কাশেম (৪০) বলেন, খালের তীরবর্তী গড়ে উঠা বসতবাড়ির অসংখ্য সুপারী গাছ, নারিকেল গাছ, আম, কাঁঠাল, লেবু, জামবুরা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলজ গাছের মড়ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীর মতে লবণাত্বক পানি প্রবেশ করায় এ সমস্যাটি সৃষ্টি হয়েছে।

জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, রেজুখালে শুস্কমৌসুমে ক্রসবাঁধ দেওয়া হলে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি ঠেকানো সম্ভব। ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুল আলম  মনির ও একই কথা বলে তিনি জানান, লবণাত্বক পানি লোকালয়ে ঢুকার কারণে এলাকায় পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে জরুরী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের বসত ভিটার ফলজ বৃক্ষ সহ বিশুদ্ধ পানি পান নিশ্চিত করতে অবিলম্বে রেজুখালে অস্থায়ী ক্রসবাঁধ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।

Exit mobile version