রোয়াংছড়িতে কাবিখা প্রকল্পের রাস্তার কাজ করলো স্কেভেটর দিয়ে
বান্দরবানে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের ১৫ মে:টনের বিপরীতে রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সাবেক রোয়াংছড়ির ২নং তারাছা ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা উথোয়াইচিং এর বিরুদ্ধে।
উপকারভোগীদের দিয়ে কাবিখা প্রকল্পের রাস্তার কাজ না করিয়ে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে সাবেক চেয়ারম্যান নিজেই এ করেছে বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। রাস্তার কাজ করার সময় এলাকার সকলকে উৎসাহ দিয়ে দা কোদাল দিয়ে সারাদিন কাজ করানোর পরও তাদের কোন প্রারিশ্রমিকও দেননি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান উথোয়াই চিং।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে উথোয়াই চিং তারাছা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুরুং বাজারের রাস্তার মাথা থেকে সিংরাও পাড়ায় যাবার এ কাজটি করেনি। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির কারনে সতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়। নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেয়ার পর তড়িঘড়ি করে সাবেক এ চেয়ারম্যান উপকারভোগীদের দিয়ে কাজটি না করিয়ে নিজেই স্কেভেটর ব্যাবহার করে রাস্তার কাজটি মাত্র ১২দিনে সম্পন্ন করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবান থেকে রুমা সড়ক পথে রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের মুরুং বাজারের রাস্তার মাথা থেকে উপকারভোগীদের বাদ দিয়ে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়া কেটে রাস্তা করছে সাবেক চেয়ারম্যান ও আলীগ নেতা উথোয়াইচিং। মাত্র ১ কিলোমিটারে এ রাস্তাটি ১২ দিনের মধ্যে করার শর্তে মাত্র ৮০ হাজার টাতায় ভাড়া নেন সাবেক এ চেয়ারম্যান। এছাড়া পাড়াবাসীদেরও বিনা প্রারিশ্রমিকে কাজ করাচ্ছেন চেয়ারম্যান।
রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বারের ছেলে রিংয়ং ম্রো জানান, ১২দিন ধরে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তার কাজ করছেন সাবেক চেয়ারম্যান। আবার বিনা প্রারিশ্রমিকে এলাকাবাসীদেরও কাজ করতে বাধ্য করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে এস্কেভেটরের চালক জানান, সাবেক চেয়ারম্যান উথোয়াইচিং এ স্কেভেটরটি মাত্র ৮০ হাজার টাকায় ভাড়া এনেছেন। কোন রকমে এক কিলোমিটার রাস্তা বের করে দিতে পারলেই হবে বলে আমাদের এনেছেন। ১২দিন ধরে রাস্তাটি করছি, আজই রাস্তার শেষ দিন।
এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ও আলীগ নেতা উথোয়াইচিং জানান, মাত্র ১৫ মে:টন খাদ্য শস্য বরাদ্ধের অনুকূলে এ রাস্তার কাজটি করা হচ্ছে। স্কেভেটর দিয়ে করলে কোন সমস্যা নাই। উপকারভোগীদের দিয়ে করাতে হবে এমন কথাও প্রশাসন বলেনি।
এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, উপকারভোগীদের দিয়ে রাস্তাটি করার কথা থাকলেও তিনি তা মানছেন না। আমি অবশ্যই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। স্কেভেটর দিয়ে রাস্তাটি করায় মাত্র ৩ মে:টন খাদ্যশস্য খরচ হয়েছে। বাড়তি ১২ মে:টনের টাকার হিসাবও তার কাছ থেকে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।