রোববার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙামাটি সার্কিট হাউজে রোববার পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কমিশন গঠন হওয়ার পর এটি দ্বিতীয় বৈঠক । কমিশন চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, রাঙামাটির চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়সহ অপর দুই সার্কেল (খাগড়াছড়ির মং ও বান্দরবানের বোমাং সার্কেল) চীফ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মবিনুর রশিদ আমিন ও কমিশনের সচিব রেজাউল করিম বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কমিশনের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ০৮ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ৪৫ দিনের মধ্যে আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সচিব মো. রেজাউল করিম। এ গণবিজ্ঞপ্তির পর তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান থেকে আবেদনপত্র জমা পড়ে প্রায় ১৪ হাজার ৮২০টি। তবে বিশাল একটা সংখ্যা এখনো আবেদনপত্র জামা দিতে পারেনি বা দেয়নি। তবে কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জমাকৃত আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির আলোকে গঠিত হয় পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন-২০০১। শুরু থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) এ আইনের বিরোধিতা করলেও জনসংহতি সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে গত ১ আগষ্ট পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা।
এ নিয়ে জন সংহতি সমিতি কোন প্রতিক্রিয়া নাথাকলেও তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বাঙ্গালীদের মধ্যে। পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন বাতিলের দাবী জানিয়ে এ মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন, হরতালসহ খাগড়াছড়িতে ল্যান্ড কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভও করে বাঙালীদের ৫টি সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন, পার্বত্য গণ পরিষদ, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র ঐক্য পরিষদ। এ কমিশনের আইন বাতিলের দাবিতে রবিবারও দু’পার্বত্য জেলা রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে পালিত হবে অবরোধ।