parbattanews

রোহিঙ্গাদের কুরবানীর জন্য এনজিওদের বরাদ্দ ৮ হাজার গরু, স্থানীয়দের জন্য ৬টি বাছুর

স্থানীয়দের কুরবানীর জন্য এনজিওদের তরফ থেকে বরাদ্দকৃত ৬ টি বাছুর

গত ২ বছর পূর্বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর উখিয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পালংখালী ইউনিয়নের মানুষ। এমন কি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে সর্বস্ব শেষ হয়েছে অনেকের। এ ছাড়াও বাপ-দাদার বহু দিনের ভোগ দখলীয় ফসলি, ক্ষেত-খামারের জমি হারিয়ে পথে বসতে হয়ে অসংখ্য হতদরিদ্র স্থানীয় পরিবারকে।

এরপরও সরকারের উদ্যোগের প্রতি সম্মান জানিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আশ্রয় দিয়েছে রোহিঙ্গাকে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী মানবতার নেত্রী হিসাবে মাদার অব হিউম্যানিটি ভূষিত। সেই ত্যাগ-স্বীকারকারী স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬টি গরুর নামে ৬টি বাছুর। যা নিয়ে পালংখালীবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী তার নিজস্ব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষোভ করে জানান, পালংখালী ইউনিয়নে প্রায় ৮ লক্ষের উপরে রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সে জন্য রোহিঙ্গা সাহায্যের ৩০% স্থানীয়দের জন্য বরাদ্দ থাকায় আজ (রবিবার) এনজিও কর্তৃক বরাদ্দ পান দুগ্ধপোষ্য ৬টি গরুর বাছুর।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এত ছোট্ট বাছুর জবাই করা ইসলামের বিধানে আছে কিনা না জানার কারনে জবাই করা ও সম্ভব হচ্ছে না। তাই রোহিঙ্গা কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত পালংখালী ইউনিয়নের জনগনের নিকট সহায়তা কামনা করি। কারণ এই দুগ্ধপুষ্য বাছুর দেখে অত্র ইউনিয়নের সম্মানিত সদস্যগণ স্থান ত্যাগ করেছেন। এখন আমি এই বাছুরদের দুধ দেওয়ার গাভী পাব কোথায়?

তিনি আরো বলেন, সকলে কথায় কথায় বলে রোহিঙ্গা সহায়তার ৩০% স্থানীয়দের, ৭০% রোহিঙ্গাদের। এমতাবস্থায় এই ঈদুল আযহায় অত্র ইউনিয়নে প্রায় ৮ লক্ষ আশ্রিত রোহিঙ্গার জন্য ৮ হাজার গরু ছাড়া ও বিভিন্নভাবে আরো শত শত গরু পেয়েছে, যার কোন হিসাব নেই। এর ৩০% হিসেবে স্থানীয়দের ২৪শত গরু পাওয়ার কথা থাকলেও পেল ৬টি গরু। অথচ বলা হচ্ছে তা সঠিক বণ্টনের মাধ্যমে।

এবারে স্থানীয়দের নাম বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে কতিপয় এনজিও সংস্থা। এগুলো দেখার দায়িত্ব কার দুই বছরে খোঁজে পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version