নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার:
কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনকালে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবে এবং সব রকমের সহযোগিতা করবে তুরস্ক সরকার। একই সাথে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।তুরস্কের ফার্স্ট লেডি রোহিঙ্গা মুসলমানদের পাশাপাশি স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নেও সাহায্যের হাত সম্প্রসারিত করবে বলেও জানান।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করতে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে পৌঁছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি তুরস্কের একটি বিশেষ বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান তিনি। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেগলুত কাভাসোগলু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে রয়েছেন। দুপুর ১.৫০টায় তুরস্কের ফাস্ট লেডি এমিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পৌঁছান। এসময় ক্যাম্পের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তারা স্বাতগ জানান এমিনি এদোগানকে।
এর আগে ব্যাপক সহিংসতার মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেখতে বাংলাদেশে আসেন এমিনি এরদোয়ান। বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টার দিকে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাকে স্বাগত জানান।
এদিকে কক্সবাজার থেকে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান এর উখিয়া-টেকনাফের যাতায়াত পথে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। একইভাবে তার পরিদর্শন এলাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। তুর্কি ফাস্ট লেডির আগমনকে স্বাগত জানিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সড়ক গুলোকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রেখেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
