parbattanews

রোহিঙ্গা ইস্যু: মিয়ানমার ও চীন ছাড়া সকল দেশ বাংলাদেশের পক্ষে

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মস্কো, ৩০ অক্টোবর- রাশিয়ায় আইপিইউ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল জানিয়েছেন- রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মিয়ানমান ও চীন ছাড়া সকল দেশ বাংলাদেশের পক্ষে আছে। প্রতিনিধি দলের প্রধান ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সম্মেলনের বাংলাদেশের পক্ষে এক হাজার ২৭ ভোট পড়েছে। আর মিয়ানমারের পক্ষে পড়েছে মাত্র ৪৭টি ভোট। এরপরও সমাপনী অধিবেশনে রেজুলেশন গ্রহণের সময় সভাপতির দায়িত্বে থাকা রাশিয়ার স্পিকার কারো আপত্তি আছে কিনা জানতে চেয়েছিলেন। তখন শুধুমাত্র মিয়ানমার ও চীন তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন।

রোববার (২৯ অক্টোবর) পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও শহীদুজ্জামান সরকার, এবং সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, পঙ্কজ নাথ, বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বেগম সাবিনা আক্তার তুহিন ও মো. মামুনুর রশিদ।

সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি স্পিকার বলেন, ১৩৭তম আইপিইউ এসেম্বলিতে ইমারজেন্সী আইটেম হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হয়েছে। আইপিইউ সাধারণ সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হবার বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল খুবই গুরুত্বের সাথে এখন বিবেচনা করছেন বলে আমাদের বিশ্বাস। জাতিসংঘের চেয়ে বয়সে পুরনো, সারা বিশ্বের ১৭৩ টি দেশের ৬৫০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল সর্ববৃহৎ সংসদীয় ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুটি গৃহীত হবার বিষয়টি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমতের প্রতিফলন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সিপিএ সম্মেলনেও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবিষয়ে সক্রিয় থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে ১৪ থেকে ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ)’র ১৩৭তম সম্মেলনে এধরণের অতীতে হয়নি। সম্মেলন থেকে আমাদের সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী রাশিয়ার সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ও আইপিইউ অনারারি প্রেসিডেন্টের সম্মান পেয়েছেন। আরেক সদস্য ডা. হাবিব-এ মিল্লাত স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় সকলেই ভূয়শী প্রশংসা করেছেন।

অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, চার দশক আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাঙালি জাতি এমন একটি বৈশ্বিক কাঠামো উপহার দিতে চায়, যেখানে সকল মানুষ শান্তিতে সহাবস্থান করবে। থাকবেনা কোন বৈষম্য, শোষণ বঞ্চনা, থাকবেনা কোন অনাহার দারিদ্র। থাকবে শুধু সামাজিক সাম্যাবস্থা।’ আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার মানবিক উদারতার কারণে বিশ্বব্যাপী ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।

 

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

Exit mobile version