parbattanews

  রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিকের মৃত্যু 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক

 

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আল ইয়াকিনের হামলার শিকার উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্প কিমিটির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক( ৫২) দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যু বরণ করেছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুতুপালং ক্যাম্পে সে মারা যায়। ঘটনায় জড়িত রােহিঙ্গাদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে , গত ২০১৭ সালের জুন মাসে কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিককে ক্যাম্পের একদল রােহিঙ্গা সন্ত্রাসী এলােপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়।

অন্যান্য রােহিঙ্গারা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতাল পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রায় ৬মাস চিকিৎসা শেষে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। ঘটনার পরপরই কুতুপালং ক্যাম্পের রােহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং আল ইয়াকিন গ্রুপের শীর্ষ নেতা সিরাজুল মােস্তফা , নুর হােসেন , মইগ্যা মাে. সােনালী, ওসমানসহ আরাে কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী।

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আবু ছিদ্দিকের স্ত্রী শামিলা বেগম ( ৪৫ ) জানান , আমার স্বামী রােহিঙ্গাদের বিচার – সালিস থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রমে লিপ্ত ছিল। এছাড়াও সরকারি প্রশাসনের লােকজনের সাথে তার একটি সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু তাকে মেনে নিতে পারছিলনা ক্যাম্পের কতিপয় সন্ত্রাসীরা। তারা বারবার হুমকি–ধমকি দিয়ে আসছিল আমার স্বামীকে।

যার জের ধরে ২০১৭সালের জুন মাসে আমার স্বামীকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতে করে মৃত মনে করে ফেলে চলে যায় । পরে অন্যান্য রােহিঙ্গারা রক্তাক্ত  অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন সেখানে দীর্ঘ ৬মাস চিকিৎসা করার পর টাকা পয়সার অভাব দেখা দিলে তাকে ক্যাম্পে নিয়ে আসি।

ক্যাম্পে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় মারা যায় সে। ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাাব জানান তিনি।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মাে. আবুল খায়ের বলেন , এ ঘটনায় একটি অভিযােগ দায়ের করা হয়েছিল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। যাহা এখন নিয়মিত হত্যা মামলা হিসেবে রুজু হবে।

Exit mobile version