parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধজগতের মূলহোতা কথিত আরসা নেতা নবী হোসেন

ছবি: বাম থেকে নবী হোসেন, মো. রফিক ও মো. জাবু

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা, অস্ত্র, স্বর্ণ, মাদক, চোরাচালানসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে যাচ্ছেন নব্য কথিত আরসা নেতা নবী হোসেন।

সে বালুখালী ১১নং ক্যাম্পের ই-৯ ব্লকের ছৈয়দ আহমদের ছেলে। তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে রয়েছে মো. রফিক ও মো. জাবু। তারা ২ জন কিছু দিন টেকনাফ শালবাগান ক্যাম্পে অবস্থান করলেও বেশির ভাগ সময় মিয়ানমারের কাচাঁরবিল থাকেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সরজমিন বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে জানা যায়, কথিত আরসা নেতা নবী হোসেন মিয়ানমারের বলীবাজার এলাকার বাসিন্দা। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে এক কাপড়ে বাংলাদেশে চলে আসে। কিন্তু বর্তমান সে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। ক্যাম্প প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১১নং ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা জানান, মিয়ানমারে থাকাকালীন নবী হোসেনের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার বড় বড় ইয়াবা ও মাদককারবারিদের সাথে সখ্যতা ছিল। এখানে চলে আসার পর সে বালুখালী এলাকার চিহ্নিত ইয়াবাকারবারিদের সাথে হাত মিলিয়ে রোহিঙ্গা মো. রফিক ও মো. জাবুর মাধ্যমে নাফনদী হয়ে ইয়াবা, স্বর্ণের চালান নিয়ে এসে ক্যাম্পে মজুদ করে থাকে। পরে সুযোগ বুঝে রোহিঙ্গা নারী ও শিশু দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে।

ক্যাম্পের বাসিন্দারা আরো জানান, প্রশাসন যদি একটু কঠোর হয় তাহলে নছরুল্লাহকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে বলে তাদের দাবি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারুক আহমেদ বলেন, যেকোন ধরনের অপরাধীদের ধরতে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।

Exit mobile version