parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিপথেরিয়া রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে: আতঙ্কে স্থানীয়রা

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। এই পর্যন্ত প্রায় ১৪শ রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১৩জন।

পাশিপাশি ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া, শাসকষ্ট, সর্দি-কাশিজনিত রোগের প্রকোপ। প্রতিদিন তাই হাজার হাজার রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্থানীয়দের মধ্যে যেন এইসব রোগ ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

একেতো দীর্ঘদিনের অপুষ্টি, তার ওপর ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস। সব মিলিয়ে বর্তমানে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত ও চর্মরোগে ভুগছে রোহিঙ্গারা। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এরইমধ্যে নতুন করে প্রকোপ দেখা দিয়েছে ডিপথেরিয়া ও ডায়রিয়ার। আর প্রায় ১ মাসে ডিপথেরিয়ার কারণে মারা গেছে ১৩জন। যত্রতত্র-অপরিকল্পিত টয়লেট ব্যবস্থাপনার কারণে কমছে না ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ঠাণ্ডা, কাশি, জ্বর এখানে একটি ফ্লু এর মতো হয়ে গেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যসেবা দানকারী একজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, গত তিন মাসে আমরা প্রায় ১০ হাজারের বেশি রোগীকে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ও চর্মরোগের পাশাপাশি ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

ডিপথেরিয়ার বিস্তার ঠেকাতে এরইমধ্যে গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে। তবে রোহিঙ্গাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা কম বলে এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। আরেকজন স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ১২ দিনের একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। তাই এরইমধ্যে এখানে যত রোহিঙ্গা আছে তাদেরকে টিকা দানের ব্যবস্থা করেছি এবং তাদের বয়সসীমা হতে হবে ৭-১৫। এদিকে বায়ু ও পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রাও।

এসব রোগের প্রকোপ নিয়ে আতঙ্কে আছে স্থানীয়রা। কেননা যেকোনো মুহুর্তে তাদের মধ্যেও রোগ ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে চিকিৎসকরা প্রতিষেধক নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয়দের। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নিকারুজ্জামান বলেন বিলুপ্ত ডিপথেরিয়ার রোগের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ।

Exit mobile version