parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে যুবক নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দু’পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভোরে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১০ ব্লক এইচ/৩২ এ ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে জড়িতরা আরসা ও আরএসও’র সন্ত্রাসী বলে দাবি ক্যাম্পবাসীর।

নিহত যুবক বশির উল্লাহ (৩৫) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১০ ব্লক এইচ/৩২ এর ফজু মিয়ার ছেলে।

ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১০ এর এইচ/৩২ ব্লকে আরসা ও আর এস ও সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। গোলাগুলিতে উভয় গ্রুপ মিলে আনুমানিক ১০-১২ রাউন্ড গুলি বিনিময় করে। উক্ত গোলাগুলিতে বশির উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প-৯ এর আইএমও হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। কক্সবাজার যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। লাশটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।

উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে গোলাগুলির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

এদিকে গত ১১ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঞ্চল্যকর সিক্স মার্ডারসহ অর্ধডজন হত্যা মামলা, অস্ত্র মামলা ও অন্যান্য মামলার আসামি সাব্বির আহমেদ ওরফে লালুকে (৩০) একটি অবৈধ ওয়াকিটকি সেটসহ গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (৮ এপিবিএন)।

আটক সাব্বির আহমেদ ওরফে লালু ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ব্লকের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এম/১৯ ব্লকে হারুনের বসতঘরের সামনে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে এপিবিএনের সদস্যরা সাব্বির আহমেদ ওরফে লালুকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।

আটক আসামিকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ২২ অক্টোবর রাতে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে।

Exit mobile version