parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪০০ ঘর পুড়ে ছাই, এক শিশুর মৃত্যু

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে ৪০০ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে এক শিশু। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নং ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, আগুন লাগার পর প্রথমে উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে কক্সবাজার থেকেও আরও দুইটি ইউনিটকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হয়। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ক্যাম্প ৫ এর বাসিন্দা মোহাম্মদ আলম (৫৫) বলেন, বিকেল হঠাৎ অগ্নিকান্ডে তার ৩ শতাধিক ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। ক্যাম্পে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

রমিজ খাতুন নামের এক রোহিঙ্গা নারী জানায়, তার যে সমস্ত সহায় সম্বল ছিল সব পুড়ে গেছে। এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে৷

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে ৫ এ আগুনে ৪০০শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে, এতে ২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক শিশু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন ও পুলিশসহ স্থানীয়রা দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা শিশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে মারা যাওয়া শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ৪০০ ঘর আগুনে পুড়ে গেছে।

গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা নামের একটি ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন। এর আগে, ২ জানুয়ারি উখিয়ার বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই আগুনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে লাগা আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ১৫ রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।

Exit mobile version