parbattanews

রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অপহৃত ২ এনজিও কর্মী উদ্ধার, আটক ২

কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন ২৬ নম্বর শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের লেকের পাড় থেকে লেকের পানি শোধনাগারে পানি সরবরাহ করার জন্য ইঞ্জিন চালু করতে গেলে এক বেসরকারি এনজিও সংস্থার ২ কর্মী অপহরণের শিকার হন। এমন সংবাদ পাওয়া পর কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ ইসলামের নির্দেশনায় টেকনাফ মডেল থানা’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একাধিক টিম স্থানীয় গ্রামবাসীসহ অপহৃতদের উদ্ধারে শালবাগান ক্যাম্পের পশ্চিমে গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান শুরু করে।

শুক্রবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান ক্যাম্পের অনুমান ২ কিলোমিটার পশ্চিমে আহমদের ছনখোলা নামক পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ভিকটিম মো. হাছান(৫৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম(১৯) কে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়।

অভিযান পরিচালনাকালীন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১৮/২০ জনের অপহরণকারী দলটি দলছুট হয়ে পালানোর সময় পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর পাকড়াও করলে অপহরণকারী দলের ২ জন সদস্য নয়াপাড়া, রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-আই, এমআরসি-৮০০৬৪, শেড-৫৫৮/২ বর্তমানে এমআরসি-৩৮৩৬১-এ, শেড-০৫২৪/৬ এর বাসিন্দা সৈয়দ হোছনের ছেলে মো. সেলিম প্রকাশ ছলিম(৩৩), এবং একই ক্যাম্পের ব্লক-আই, এমআরসি-২৯৩৭১-সি, শেড-৫০৩/২ এর বাসিন্দা মো. জসিম (১৯) কে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃতদের দেহ তল্লাশি করে ১নং আসামি মো. সেলিম প্রকাশ ছলিমের কাছ থেকে ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজ এবং ২নং আসামি মো. জসিমের কাছ থেকে ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া যায়। ঐ সময় পুলিশ ডাকাতদলের আস্তানা থেকে কার্তুজের খোসা, লোহার শিকল, হেসকো ব্লেড, হাতুড়ি, প্লাস, রেত, স্ক্রু ড্রাইভার, টর্চ লাইট, স্প্রে ক্যান, ইলাস্টিক, সীসা’র তৈরি জালের গুলতি (গুটি) এবং নীল রং এর কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার হয়। সােথে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিও উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, অপহরণের ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের আটকের জন্য টেকনাফ থানার পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

Exit mobile version