রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক কাপড় ব্যবসার আড়ালে চলছে ইয়াবা পাচার

fec-image

উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক কাপড় ব্যবসার আড়ালে চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার। এতে জড়িত রয়েছে সাতকানিয়ার কতিপয় ব্যবসায়ী চক্রের সাথে বালুখালী ক্যাম্পের এক ডজন রোহিঙ্গা নাগরিক। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে, চলতি বছরের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বালুখালী ৮,৯,১০ ও ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ৯ হাজার ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই সময় আগুন থেকে রক্ষা পায়নি বালুখালী বলিবাজার খ্যাত মার্কেটটিও। যে মার্কেটের অধিকাংশ দোকানের মালিক ছিল রোহিঙ্গা নাগরিক। উক্ত মার্কেটে চলতো ইয়াবা বিকিকিনি। কাপড়ের দোকানের আড়ালে তারা এসব অপকর্মে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সাথে সম্পৃক্ত ছিল চট্টগ্রামের সাতকানিয়া কতিপয় ব্যবসায়ী চক্র। যাদের অন্যতম সদর ঘাটের হারুন, কুদ্দুস, শহিদ, কাওসার এবং চট্টগ্রাম রিয়াজ উদ্দিন বাজার কানান। তাদের মাধ্যমে ক্যাম্প থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচার করছে বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আনোয়ার, মৌঃ কবির, ইদ্রিচ, মোঃ ছালাম, ইউনুছ প্রকাশ লেড়াইয়া, মো. শওকত আলী, মুজিবুর রহমান, মো. শাহ, ইসলাম, মো. রফিক সহ আরো অনেকে।

অভিযোগ উঠেছে, তারা কাপড় ব্যবসার নাম করে মূলতঃ রোহিঙ্গাদের সাথে মিলে-মিশে ক্যাম্প কেন্দ্রিক ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে।

দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা কারবার করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে তাদের কোন সুস্পষ্ট তথ্য নেই। যার ফলে বারবার রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বালুখালী ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন বলেন, আগুনের পুড়ে যাওয়ার পর বালুখালী বলী বাজার নামক স্থানে কোন দোকান বা মার্কেট নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে ক্যাম্প ৮ইস্টে কিছু দোকান রয়েছে যে গুলো উচ্ছেদ করার জন্য আমরা সিআইসির মাধ্যমে ইতিমধ্যে নোটিশ দিয়েছি। যেকোন সময় এ গুলো উচ্ছেদ করা হবে৷ এছাড়াও বাহিরের লোক যদি রোহিঙ্গাদের দিয়ে অপকর্ম করে থাকে তাহলে অবশ্যই আরো কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন