parbattanews

রোহিঙ্গা: ত্রাণের নামে চলছে প্রতারণা

ছৈয়দ আলম :
মিয়ানমার হতে আসা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দেওয়াকে পুঁজি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি সুবিধাদী প্রতারক চত্রু। রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ কালেকশন করে ৩ ভাগের ১ ভাগ দিয়ে ভারী করছে নিজেদের পকেট।

এছাড়া বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত ফান্ড হতে আসা ত্রাণের টাকা ভিন্ন উপায়ে আর্তসাৎ করছে নামে বেনামের বিভিন্ন চক্র। রোহিঙ্গাদের শুকনো খাবারে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।

এইসব শুকনো খাবার গুলো প্যাকিং করা হয় কক্সবাজার শহরের বড় বাজার, বাজারঘাটা এলাকার বিভিন্ন পাইকারী মুদির দোকার গুলোতে। এইসব মুদির দোকানের অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় ত্রাণের অর্ডারে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য দিয়ে বস্তা ভর্তি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুকনো খাবার গুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নিন্ম মানের পচাঁ চনা, তিতা চিড়া, পচাঁ ও ভেজা চাউল নিম্নমানের তেল মোল্লা লবনের নামে ইসলামপুর লবন এইসব ভেজাল পন্য লোক চক্ষুর আড়াল করতে প্যাকিং করা হয় রাতে এবং ট্রাক ভর্তি হয় ভোর হওয়ার পূর্বে।

ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করা অভিযুক্ত দোকানগুলোর মধ্যে অন্যতম মাহাবুব ট্রেডাস, শাহাদাত ট্রেডাস, সাতকানিয়া ষ্টোর, আবদুল্লাহ ষ্টোর, জয়নাল ষ্টোরসহ শহর ও উখিয়া-টেকনাফের অসখ্য দোকান ব্যবসায়ীরা।

অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের পুঁজি করে অনেক ভদ্রবেশী মানুষ রোহিঙ্গা এলাকার বাইরে থাকা বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে সরলতাকে পুঁজি করে টাকা আদায় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের মধ্যে বেশীরভাগ মানুষ বিত্তশালী ও ছাত্র। তারাই দেশবিদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য আকুতি-মিনতি করে টাকা নিয়ে এসে ১০ ভাগের ১ ভাগ লোক দেখানো ত্রাণ বিতরণ করে কোনরকম একটি ছবি প্রদর্শন করে বাকী টাকা খেয়ে ফেলছে।

উখিয়ার থাইংখালীর এনাম নামে এক যুবক বলেন, রোহিঙ্গা আসছে ঠিক আছে কিন্তু তাদের নিয়ে এলাকার ছদ্মবেশী একশ্রেনীর দালাল রোহিঙ্গাদের ছবি ও রেকর্ডিং সংগ্রহ করে তা তাদের আস্তাভাজনদের দেখিয়ে বিকাশে বা ব্যাংকের একাউন্টে নিয়ে এসে অনেক সহজে অবৈধ টাকার মালিক হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন মহল এসব দালাল ও সাধুবেশীদের তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Exit mobile version