parbattanews

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঘিরে চলছে প্রস্তুতি!

টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জের অফিস।

অবশেষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে মিয়ানমার। তাই মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে কক্সবাজারের টেকনাফের কেরুণতলী প্রত্যাবাসন ঘাট ও নয়াপাড়া শালবন রোহিঙ্গা শিবিরে চলছে প্রস্তুতি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আগামী ২২ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত যাবে তিন হাজার ৫৪০ জন রোহিঙ্গার একটি দল। মিয়ানমার সরকারের এমন ঘোষণা দেয়ার পর এ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজের শ্রমিক হামিদুর রহমান ও মো. সেলিম জানান, এখান থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে। ফলে ক্যাম্প ইনচার্জের নির্দেশে গত কয়েকদিন প্রত্যাবাসন ঘাটে নতুন করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন অফিসের লোকজন তদারকি করছেন।

ঘাটে দায়িত্বে থাকা প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের প্রতিনিধি মো. শহীদ জানান, এই ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হওয়ার কথা রয়েছে। তাই কতৃপক্ষের নির্দেশে এখানে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন কাজ কর্ম চলছে।প্রত্যাবাসন ঘাটে দায়িত্বরত ১৬ আনসার ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মো. আইনুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঘাটে কয়েকদিন ধরে কাজ চলছে। তাদেরকে আমরা সহযোগিতা করছি। শুনেছি কয়েকদিনের মধ্যে এই ঘাট দিয়ে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যাবে।’

অন্যদিকে, একইদিন নয়াপাড়া শালবন রোহিঙ্গা শিবিরে সিআইসি কার্যালয়ের পাশে ‘প্রত্যাবাসনের তালিকায়’ নাম থাকা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেওয়ার জন্য তড়িগড়িভাবে প্লাস্টিকের ছোট ঘর তৈরি করে ঘেরা দিতে দেখা গেছে। এতে বেশকিছু রোহিঙ্গা শ্রমিক কাজ করছে। কথা হয় শিবিরের চেয়ারম্যান রমিদা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে ফেরত যাবে এমন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এসব তৈরি করা হচ্ছে। আমরা শুনেছি এরপর তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে।’

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরসি) মো. আবুল কালাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কখন প্রত্যাবাসন শুরু হবে সে বিষয়ে এখনো অবগত নই। তিনি আরও বলেন, ‘রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসন ও শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাবাসন সক্রান্ত জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছেG

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ে রোহিঙ্গাদের প্রতিবাদে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারেনি। সে-সময় উখিয়ার ঘুমধুম ও টেকনাফের নাফ নদীর তীরে কেরুণতলী (নয়াপাড়া) প্রত্যাবাসন ঘাট নির্মাণ হয়েছিল। এর মধ্যে টেকনাফের প্রত্যাবাসন ঘাটে প্যারাবনের ভেতর দিয়ে লম্বা কাঠের জেটি, ৩৩ আধা সেমি-টিনের থাকার ঘর, চারটি শৌচাগার রয়েছে। সেখানে ১৬ আনসার ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

Exit mobile version