parbattanews

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বন্ধে শেষ মুহূর্তে নিরাপত্তা পরিষদে তৎপরতা

বাংলাদেশ যখন মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় উদ্যোগের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে গতকাল বুধবার রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে ব্রিফিং ও বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক ঘিরেও নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাবশালী কিছু পশ্চিমা সদস্য নানান শর্ত দিয়ে কার্যত প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করছে।

রোহিঙ্গারা এখন তাদের নিজ দেশে ফিরে না গেলে তাদের সমস্যা সমাধান আরো কঠিন হয়ে পড়বে—এমন বাস্তবতার মধ্যেও তারা প্রত্যাবাসনবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। একই অবস্থান মানবাধিকারবিষয়ক দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বেসরকারি সংস্থার (এনজিও)। অথচ গত দুই বছরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পরিবেশ সৃষ্টির জন্য লোক-দেখানো আহ্বান জানানো ছাড়া তেমন কিছুই করেনি তারা।

গত রাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ব্রিফিংয়ের প্রাক্কালে ওই পরিষদের সদস্য যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম আলাদা টুইট বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়টি স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও সম্মানজনক হতে হবে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে ও পরিস্থিতির বিষয়ে জানাতে হবে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা কর্মীদের প্রবেশাধিকারও অপরিহার্য।

সূত্র: সাউথএশিয়ানমনিটরডটকম

Exit mobile version