parbattanews

রোহিঙ্গা ফেরতের চুক্তিতে বাংলাদেশের কোনো চাওয়াই পূরণ হয়নি

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার : রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশের কোনো চাওয়াই পূরণ হয়নি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনো ষ্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলি রিয়াজ এ চুক্তিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘১৯৯২ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেদিক বিবেচনা করলে বিষয়টি নিয়ে তেমন আশাবাদী হওয়া যায় না। বাংলাদেশ চেয়েছিল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া কখন শেষ হবে তা চুক্তিতে উল্লেখ থাকুক। ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ চেয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে অংশগ্রহণ থাকুক, সেটিও হয়নি। এখন রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোই বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য।’

আলি রিয়াজের সঙ্গে একমত পোষণ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘নতুন স্বাক্ষরিত দলিল অনুযায়ী তা কতটুকু সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’

হুমায়ুন আরো বলেন, ১৯৯২ সালের চুক্তিও মিয়ানমার রক্ষা করেনি, তাই তখনকার ২২ হাজার রোহিঙ্গাও ফেরত পাঠানো যায়নি। সুতারাং আগে যেখানে সফলতা পাওয়া যায়নি সেই ফরমুল্য়া এখন কতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

তিনি বলেন, আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় কে দেখানোর জন্যই মিয়ানমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

তবে স্বাক্ষরিত দলিলটি উভয় পক্ষের বিজয় বলে উল্লেখ করছেন মিয়ানমার।

বিবিসির বার্মিজ ভাষা বিভাগের প্রধান সো ইয়েন থান বলেছেন, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও মাঠের বাস্তবতা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়।

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গারা যে গ্রাম গুলোতে বাস করতো সেখানে গ্রাম প্রশাসনের কাছে তাদের পরিচয় সংরক্ষিত আছে। তবে এ কথা সত্য যে, অনেকের পরিচয়ের প্রমাণপত্র তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আসার সময় পুড়ে গেছে। কিন্তু সেখানে বসবাসরত বয়স্ক লোকজন যদি তাদের স্বীকৃতি দেয় তাহলেও কোন আপত্তি থাকবে না।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সমযোতায় বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের পক্ষে ইউনিয়ন মিনিস্টার ইউ চে টিন।

 

সূত্র: আমাদের সময়.কম

Exit mobile version