parbattanews

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত স্থানীয় বাসিন্দা আব্দু শুক্কুর ৪২ দিনেও উদ্ধার হয়নি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের শিকার এক যুবক ৪২ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত সুরাহা মেলেনি। সে জীবিত নাকি মৃত তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডি-৫ সংলগ্ন মসজিদের নিকট থেকে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং পশ্চিমপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবদু শুক্কুর প্রকাশ সাগর মিয়া (২৩)কে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

আপোষে উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ২৯ আগস্ট পুলিশী সহযোগিতায় উদ্ধারের জন্য উখিয়া থানায় একটি লিখিত আবেদন করে অপহৃতের ছোট ভাই মো. ফারুক মিয়া।

অপহরণকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হলো বি-৩ পাহাড় ব্লকের লায়ল্যা মাঝি (৩৮), কালাবদা মাঝি (৪০), মহিব উল্লাহ (২৮), ক্যাম্প- ৭ এর নৌকা ফিল্ড এলাকার হেডমাঝি জকরিয়া (৪২), করিম উল্লাহ (৩২), আমির (৪৮), ডি-৫ ব্লকের মৌং ইলিয়াছ (৩৫), নুর মোস্তফা (৩২), সিরাজ মিয়া (২৮), ডি-৩ এর ছব্বির আহমদ (২৫), ডি-২ এর ইসমাইল (২২), কুতুপালং ক্যাম্পের সি ব্লকের ছৈয়দ আলম (২৮)।

অপহৃতের ছোট ভাই মো. ফারুক মিয়া বলেন, অপহরণকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের মুক্তিপণ দাবি করলে আমরা ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে সম্মত হই। এতে সন্ত্রাসীরা আরও টাকার দাবি করে। অন্যাথায় আমার ভাইকে ফেরত দিবে না বলে জানায়। সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, মাস খানেক আগে স্থানীয় এক বাসিন্দা অপহরণের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে বর্তমানে সে জীবিত কিনা মৃত জানিনা।

ক্যাম্প ইনচার্জ খলিলুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদের সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, রোহিঙ্গা কর্তৃক স্থানীয় বাসিন্দা অপহৃত হওয়ার ব্যাপারে তিনি অবগত নয়। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান।

Exit mobile version