parbattanews

রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের জন্য মিয়ানমারে চাপ অব্যাহত রেখেছি: ফিলিপ বার্টন

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ অ্যান্ড উন্নয়ন অফিসের (এফসিডিও) স্থায়ী আন্ডার সেক্রেটারি স্যার ফিলিপ বার্টন বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা সমস্যার একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের জন্য মিয়ানমারে চাপ অব্যাহত রেখেছি। যা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণভাবে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে সক্ষম করবে। সেখানকার অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন,

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার ছয় বছর পরও যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ এই সঙ্কটে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের পাশে আছে। ২০১৭ সালের ওই সহিংসতার পর রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য নতুন তহবিল হিসেবে ৩০ লাখ পাউন্ড (প্রায় ৪২ কোটি টাকা) প্রদানের ঘোষণা করেছেন ফিলিপ বার্টন। এই নতুন অর্থায়ন জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

নতুন তহবিল ঘোষণা সম্পর্কে ফিলিপ বার্টন বলেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যের অবদান হিসেবে ইউএনএইচসিআর’কে আরো ৩০ লাখ পাউন্ড সহায়তা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত। এই অর্থ কক্সবাজার ও ভাসানচরের উদ্বাস্তুদের স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন পরিষেবা ও রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।’

স্যার ফিলিপ বার্টন পঞ্চম যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ কৌশলগত সংলাপে অংশ নিয়ে এখন বাংলাদেশ সফর করছেন।

হাই কমিশন জানিয়েছে, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এই কৌশলগত সংলাপ একটি আধুনিক অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব বিকাশে দু’দেশের যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাজ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা বাংলাদেশি মানুষের সহায়তায় ৩৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড (৫ হাজার কোটি টাকার বেশি) প্রদান করেছে।

Exit mobile version