parbattanews

রোয়াংছড়িতে ভিজিডি কার্ড কেরে নেওয়ায় মহিলা বিষয়ক অফিস ঘেরাও

Rowangchari pic 11.04

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:

রোয়াংছড়ি উপজেলা ১নং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে ভিজিডি চাউল উপকার ভোগীদেরকে চাউল বিতরণের সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শামছুর আলম তক্ষণাৎ ইউনিয়ন পরিষদে এসে উপকার ভোগীদের কাছ থেকে কার্ড কেরে নেওয়ায় দেড় শতাধিক উপকার ভোগীরা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিস ঘেরাও করে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের এ ঘটনা ঘটে।

রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার প্রুসানু মারমা জানায়, প্রতি মাসের ন্যায় ভিজিডি চাউল গ্রহণ করতে আসলে আমরা কয়েজন ইউপির সদস্য চাউল বিতরণে ব্যবস্থা করি। আমাদের ব্যস্ততা দেখে ভিজিডি উপকার ভোগীরা স্বস্ব ওয়ার্ডে মেম্বারদের কাছ থেকে সই নিয়ার লক্ষে একজন উপকার ভোগী সহায়তা প্রদানের প্রতিটি উপকার ভোগীদের কাছ থেকে ভিজিডি কার্ডগুলো সংগ্রহ করে দেন। এমন সময় হঠাৎ করে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. শামছুর আলম এসে ৩০-৪০টি কার্ড কেরে নেন এবং চেয়ারম্যানের সামনে গিয়ে ৪৫০জন হতদরিদ্র উপকার ভোগীদের ভিজিডি কার্ড বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। ওই মুহূর্তে আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেন তিনি।

রোয়াংছড়ি সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মেচিংঅং মারমা জানান, আজ বাদে কাল হবে বৌদ্ধ ধর্মাবিলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব এবং পহেলা বৈশাখ সে উপলক্ষে হতদরিদ্র পরিবারে মধ্যে অত্যন্ত জরুরী প্রয়োজন এ চাউল। এমন অবস্থাতে এসে ক্ষমতা অপব্যবহার করে কার্ডগুলো তার অফিসে নিয়ে গেছে। ইতো মধ্যে সকাল হতে উপকার ভোগীরা প্রায় দেড় শতাধিক লোক চাউল নিতে জরো হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদে। তাদেরকে চাউল দিতে না পারায় খালি হাতে বাড়ি চলে গেছে।

রোয়াংছড়ি সদর ইউপির চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা জনান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার এসে কোন কারণ ছাড়াই উপকার ভোগীদের কার্ডগুলো তার অফিসে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে কি হয়েছে তা আমি জানিনা। আমার সাথে কোন কিছু না বলে প্রায় ৪০টা  কার্ড তার অফিসে নিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর আবার পরিষদে পাঠিয়ে দিয়েছে। তিনিও আমাদের পরিষদে এসে ক্ষমা চেয়েছে। তবুও আমরা চাউলগুলো বিতরণ করব না। উপজেলা পরিষদের ইউএনও সহ আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরবর্তীতে চাউলগুলো বিতরণ করা হবে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মো. শামছুর আলম তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিজিডি চাউল বিতরণে কথা শুনে আমি ওই খানে গিয়ে দেখা যায় সমস্ত ভিজিডি কার্ড ওনার হাতে। তা দেখে আমি জিজ্ঞেস করি তিনি আমাকে কিছু বলতে পারিনি তাই আমি কার্ডগুলো নিয়ে আসি অফিসে। কারণ এটা আইনের পরিপন্থি। একজন পুরুষের হাতে এতগুলো কার্ড থাকার কথা না। এটা আমার অধিদপ্তর থেকে ইস্যু করা হয়েছে।  এ নিয়ম নীতি আমার জানা আছে আমি এ কার্ডগুলো খোঁজ নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দাউদ হোসেন জানান, এব্যাপারে তিনি জানেন না যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে যাচাই করে দেখতে হবে।

Exit mobile version