parbattanews

লংগদুতে জ্বীন হাজিরের নামে গৃহবধু ধর্ষণের অভিযোগ

আটক ধর্ষক ও সহযোগী

 

 

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের উত্তর ইয়ারিংছড়ি এলাকায় জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে স্বামীকে হাজির করিয়ে দেওয়া সহ অপচিকিৎসার নামে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ভন্ড কবিরাজের বিরুদ্ধে।

ভন্ড কবিরাজের নাম ওসমান। সে বাঘাইছড়ি উপজেলার মোস্তফা কলোনি এলাকার মৃত তফসির আহম্মদের পুত্র।

ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর পিতার লংগদু থানায় অভিযোগ দায়ের করার ভিত্তিতে ওই কবিরাজের তিন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য হওয়ায় কয়েকদিন ধরে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছে ওই গৃহবধূ। একই এলাকার তাদেরই দূরসম্পর্কের এক আত্মীয় বাবার বাড়ি থেকে কৌশলে গৃহবধুকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল ভন্ড কবিরাজ ওসমান।

গৃহবধূর স্বামীর সাথে মনের মিল করিয়ে দেবে এবং স্বামী নিজে এসে গৃহবধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবে এমন প্রলোভন দেখালে ওই গৃহবধূ  শেষ পর্যন্ত কবিরাজের নিকট চিকিৎসা নিতে রাজি হয়। জ্বীন হাজিরের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলে গৃহবধূকে হলুদ রঙের শাড়ি পড়ানো হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে গৃহবধূকে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় পানীয় খাওয়ালে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় ভন্ড কবিরাজ ওসমান।

ধর্ষণের স্বীকার গৃহবধূর পরিবার সামাজিক সম্মান এবং মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন রাখে। এক পর্যায়ে গত ২০ এপ্রিল লংগদু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ কবিরাজের তিন সহযোগীকে আটক করে। এরা হলেন, এমারত হোসেনের ছেলে নুর ইসলাম(৩৫) ও মেয়ে মোছা. রাহেলা খাতুন(৫৫), অপরজন নুর ইসলামের স্ত্রী আয়শা খাতুন(২৯) এদের সকলের বাড়ি উপজেলার উত্তর ইয়ারিংছড়ি এলাকায়।

লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জন কুমার সামন্ত জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাঘাইছড়ির বাসিন্দা কবিরাজ ওসমানের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে রাতেই মামলার তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। ধর্ষক ওসমানকে আটকের চেষ্টা চলছে। আটক তিনজনকে রোববার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছি এবং ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

Exit mobile version