parbattanews

লংগদুতে তিন গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো

IMG_20161218_104447 copy

নিজস্ব প্রতিনিধি:

একটি ব্রিজের জন্য তিনটি গ্রামের মানুষকে ৩/৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজারে আসতে হয়। অনেক দিন আগে থেকে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছরি বাজারের উত্তর পাশে একটি ব্রিজ হবে তা শুনে আসছে এলাকার লোকজন। দীর্ঘ দিন পার হলেও দেখা মিলেনি করল্যাছরি বাজারের ব্রিজটি।

যার ফলে ওই সব গ্রামে উৎপাদিত পণ্যাদি বাজারজাত করতে স্থানীয়দের অনেক কষ্ট করতে হয়। ১নং আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মঙ্গল কান্তি চাকমা বলেন, অনেক জায়গায় এ ব্রিজটির জন্য আবেদন করেছি কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছি না।

তিনি বলেন, ডানে আটারকছড়া, করল্যাছরি ও আনসার ক্যাম্প এলাকার জনগণের জন্য এ ব্রিজটি খুবই প্রয়োজন। তা ছাড়াও ওই গ্রামগুলোর ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেও অনেক কষ্ট হয়। অনেক দূরের পথ ঘুরে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আসতে হয়।

এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান জানান, এ ব্রিজটির জন্য জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডিসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি এ পর্যন্ত কারও নজর পরেনি, কারও দয়া হয়নি। এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে এলাকায় উৎপাদিত লক্ষ লক্ষ টাকার কাঁচামাল, ধান, কৃষিপন্য, বাজার জাত করা সহজ হতাে।

আব্দুর রহমান মেম্বার আরও বলেন, যে চরার উপর আমরা ব্রিজ নির্মাণের আবেদন করছি সে চরায় সারা বছর পানি থাকে। বাঁশের সাকো দিয়ে বিদ্যালয়ের বড় ছেলে মেয়েরা পার হতে পারলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক ছেলে মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। ফলে এ এলাকার ছেলে মেয়েরা শিক্ষায় পিছিয়ে পড়ছে। সম্প্রতি করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর একজন ছাত্রী ওই সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে হাই স্কুলের একজন শিক্ষার্থী তাকে সাথে সাথে তুলে নেয়। যার কারণে সে বেঁচে যায়।

এলাকার লোকজন ক্ষোভের সাথে বলেন, অনেক জায়গায় ব্রিজ কালভাট নির্মাণ করা হয়েছে যা কোন কাজে লাগে না অথচ, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এখানে কোন ব্রিজ হয় না। তারা আরও বলেন, মাত্র ১০০ ফুট লম্বা একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে তাদের দুঃখ দূর হয়ে যেত ।

তাই, এলাকার লোকজন তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্য ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে এ ব্রিজটি নির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

Exit mobile version