parbattanews

লংগদুতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কীত সমন্বয় সভা

লংগদু প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আ. আলীম চৌধুরী বলেছেন, নিরাপত্তাবাহিনী পার্বত্যাঞ্চলে পিছিয়ে পড়া সকল জনগোষ্ঠির শিক্ষা, উন্নয়ন সহ দেশের নিরাপত্তার কাজে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের স্বার্থে বসবাসরত সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বসবাস করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, লংগদুতে গত ২জুন নয়ন হত্যা কাণ্ডকে কেন্দ্র করে যে নির্মম ঘটনা তা অপ্রত্যাশিত এবং অত্যান্ত নিন্দনীয়। এ ঘটনাটি কারো কাম্য ছিলনা। এর সাথে যারা জড়িত তাদের ধিক্কার জানাই এবং এর প্রেক্ষিতে যে সমস্ত ভূক্তভোগী পরিবারগুলি আছে যাদের জীবনযাত্রা সমস্যায় পড়েছেন আমি তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

তিনি বলেন, ২ জুন ঘটনাটি কেন ঘটেছে, কারা এর সাথে জড়িত পুরো বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ এবিষয়ে তদন্ত করছেন। সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের যা সাহায্য করার দরকার তা করেছে।

লংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা সম্পর্কিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জোন কমান্ডার আ. আলীম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

সভায় এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কাঠ চোরাচালান, ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ ও নিরসনে করণীয়, রোহিঙ্গা ইস্যু, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, সন্ত্রাস নির্মূলের লক্ষ্যে অভিভাবক, নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসন, লংগদুতে তিনটি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের পর বর্তমান পরিস্থিতি, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা এবং দূর্গাপূজার কারণে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিরাপত্তা, জোনের উদ্যোগে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পায়।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফজ্জাল হোসেন, বাইট্টাপাড়া ১আনসার ব্যাটালিয়নের কমান্ডার সোহেলুরর রহমান, লংগদ জোনের ক্যাপ্টেন মোক্তাদির, লেপ্টেন্যান্ট হামিদ, লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম, বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো. জানে আলম, গুলাশাখালী ইউপি চেয়াম্যান আবু নাছির, লংগদু প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. এখলাস মিঞা খান, লংগদু জেএসএস সভাপতি ত্রিলোচন চাকমা, খেদারমারা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুবিমল চাকমা, সুচিত্রা সেন কার্বারী।

সভায় জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল আ. আলীম চৌধুরী আরো বলেন, ঘটনার সময় যদি নিরাপত্তাবাহিনী সময়মত মানিকজোড়ছড়া পর্যন্ত না পৌঁছাতো সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে আরো ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটতে পারতো। কিন্ত তা সম্ভব হয়নি। অথচ অনেকে লংগদুর ঘটনার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে ফেইসবুকে ও বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম মন্তব্য করে লেখা ও উষ্কানীমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এটা অন্ত্যান্ত দুঃখজনক ব্যাপার।

আমি মনে করি শান্তি চুক্তির পরে এই এলাকার পরিস্থিতি বা স্থিতিশীলতা যেভাবে চলে এসেছে তা অত্যান্ত চমৎকারভাবে এসেছে।

 

Exit mobile version