parbattanews

লংগদুতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভুয়া চিকিৎসক আটক

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় এমবিবিএস চিকিৎসক সেজে চেম্বারে বসে রোগী দেখতে গিয়ে আটক হয়েছেন মাসুদ রানা (৪৪) নামের এক প্রতারক।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মাইনীমুখ বাজারের একটি মেডিকেল সেন্টার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে মাসুদ রানা নামে কথিত এমবিবিএস চিকিৎসকে আটক করা হয়।

আটককৃত মাসুদ রানা নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

এবিষয় জানতে চাইলে মেডিকেলের সেন্টারের মালিক পক্ষ জানান, লোকটি বাঘাইড়ি উপজেলায় একটি মেডিকেলে নিয়মিত রোগী দেখেন বলে আমাদের জানায়। আমাদের মেডিকেলের নিয়মিত ডাক্তার ছুটিতে থাকায় তাকে আমরা রোগী দেখার সুযোগ করে দেই। তিনি আমাদের বিএম ডিসির একটি নিবন্ধন নাম্বার দেখায়, অতপর আমরা তাকে চেম্বার করার সুযোগ দেই। পরবর্তীতে প্রশাসন অভিযান চালালে আমরা নিশ্চিত হই তিনি একজন ভুয়া ডাক্তার। এর আগে আমাদেরও জানা ছিলোনা। সে আমাদেরকেও বোকা বানিয়েছে! তিনি আরেকজনের নাম্বার ব্যবহার করছে, সেটা বুঝা কঠিন ছিলো। তার এই অপকর্মের দায়বার মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নিবেনা। তাকে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তার এই অপকর্মের বিচার হোক সেটা আমরা দাবি করছি। তার জন্য আমাদের প্রতিষ্ঠানেরও বদনাম হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( অতি. দা.) মো. আকিব ওসমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন লংগদু থানা অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দীন, লংগদু থানার এসআই শাহাবুর আলম সহ লংগদু থানার একটি বিশেষ টিম ও বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।

এসময় লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার এমবিবিএস (বিসিএস) হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জন উপস্থিত থেকে তাকে ভুয়া ডাক্তার নিশ্চিত করেন।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল উদ্দিন বলেন, আমরা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি যে মাইনীমুখ বাজারের একটি মেডিকেলে একজন ভুয়া ডাক্তার রোগী দেখছে। সে সূত্র ধরে আমরা নির্বাহী কর্মকর্তার সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করি। প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত মাসুদ রানাকে ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ বছরের সাঁজা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে আসামিকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল (শুক্রবার) সকালে রাঙামাটি জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। আমরা খোজঁ নিয়ে দেখেছি আটক মাসুদ রানার বিরুদ্ধে আগেও চিকিৎসকের নামে প্রতারণার অভিযোগে কুষ্টিয়া, হবিগঞ্জ ও পাবনা জেলায় মামলা হয়েছিল।

Exit mobile version