parbattanews

লংগদু উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে এ সম্মাননা অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল করিম।

প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাদের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছে বিভিন্ন ইভেন্টে।

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ এর বিভিন্ন ইভেন্টে এ বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তাদের মধ্যে আছে: বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় ক-গ্রুপে মাহিনুর রহমান (৮ম শ্রেণি), খ-গ্রুপে আফরিন জামান (১০ম শ্রেণি); ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতা ক-গ্রুপে খন্দকার তাহসিন বিন হাসান (৬ষ্ঠ শ্রেণি), খ-গ্রুপে আফরিন জামান (১০ম শ্রেণি); নির্ধারিত বক্তব্য খ-গ্রুপে আফরিন জামান (১০ম শ্রেণি); বাংলা কবিতা আবৃত্তি ক-গ্রুপে খন্দকার তাহসিন বিন হাসান (৬ষ্ঠ শ্রেণি), খ-গ্রুপে উজমা উলফাত নাজিয়া (১০ম শ্রেণি); বিতর্ক প্রতিযোগিতা ক-গ্রুপে রফিকুল ইসলাম (৮ম শ্রেণি), খ-গ্রুপে জান্নাতুল মাওয়া  (১০ম শ্রেণি); দেশাত্ববোধক গান  ক-গ্রুপে আয়েশা নুর সিনহা (৮ম শ্রেণি)।

সার্বিক বিবেচনায় উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী এবং শ্রেষ্ঠ স্কাউট নির্বাচিত হয়েছে উজমা উলফাত নাজিয়া (১০ম শ্রেণি) এবং শ্রেষ্ঠ স্কাউট গ্রুপ হয়েছে রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় গ্রুপ।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফরিন জামান (১০ম শ্রেণি) বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালেও রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় লংগদু উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের আয়োজন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে আবারো সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখলো প্রতিষ্ঠানটি।

১৯৯৬ সালে রাবেতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েই উপজেলার মধ্যে সেরা অবস্থান তৈরি করেছিল। এরপর থেকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বিদ্যালয়টি। সর্বশেষ ২০২১ সালে ৬ জন এ-প্লাসসহ ৯১.৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে।

সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ২০২০ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে কারিগরি বোর্ডের অধীনে ২টি ট্রেডে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কারিগরি বোর্ডের ট্রেড দুটি হচ্ছে জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও ড্রেস মেকিং। ২০২১ সাল থেকে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে বিদ্যালয়টি।

বর্তমানে বিদ্যালয়টির ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৭৫০। ২০ জন শিক্ষক এবং ৮ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। এর পেছনের কারণ জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল করিম জানান, ‘নিয়মিত মোটিভেশান, ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা, উৎসাহ সৃষ্টি এবং সর্বোপরি আল্লাহর মেহেরবানি’ এই সাফল্যের উৎস।

Exit mobile version